(বাঁ দিকে) মেহবুবা মুফতি এবংফারুক আবদুল্লা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সরকার গঠনের জন্য পিপলস ডেমোক্র্য়াটিক পার্টি (পিডিপি)-র সমর্থন প্রয়োজন না-হলেও মেহবুবা মুফতির দলের সাহায্য নেওয়া হবে। রবিবার এমনই জানালেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হতে পারে। কোনও দল বা জোটই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। এনসি-কংগ্রেস জোট জাদুসংখ্যার কাছাকাছি থাকলেও একক বৃহত্তম দল হতে পারে বিজেপি।
জনমত সমীক্ষায় আরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, পিডিপি কিংবা বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের দল আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টি নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে। এই আবহে সম্প্রতি কাশ্মীরের স্থানীয় সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রয়োজনে এনসি-কংগ্রেস জোটকে সমর্থন জানাবেন মেহবুবা।
রবিবার এই প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ফারুককে। তিনি বলেন, “যদি আমাদের প্রয়োজন না-ও হয়, তবুও আমরা আমরা (পিডিপি-র) সমর্থন নেব। কারণ আমরা এক সঙ্গে চলতে চাই। এক সঙ্গে কিছু করতে চাই। এই রাজ্যকে বাঁচাতে আমাদের এক সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।” তবে ভোটের ফলাফল পরবর্তী পরিস্থিতিতে রণকৌশল নির্ধারণে মেহবুবার সঙ্গে তাঁর সরাসরি কথা হয়নি বলে জানান ফারুক।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েছিলেন মেহবুবা। ২০১৮ সালে অবশ্য এই জোট ভেঙে যায়। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর কংগ্রেস এবং উপত্যকার অন্য দলগুলিকে নিয়ে গুপকর জোট তৈরি হয়। সেই জোটে ছিল এনসি এবং পিডিপিও। যদিও লোকসভা নির্বাচনে এনসি এবং পিডিপির মধ্যে জোট হয়নি। বিধানসভা ভোটেও এনসি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে আর পিডিপি পৃথক ভাবে লড়াই করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy