Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Farooq Abdullah

বাজেয়াপ্ত ফারুক আবদুল্লার ১২ কোটির সম্পত্তি, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ইডি-র

ইডি-র দাবি, ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফারুক জেকেসিএ থেকে ৪৫ কোটি টাকারও বেশি সরিয়ে ফেলেছেন।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:০৫
Share: Save:

আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি-র অভিযোগ, জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেট সংস্থা (জেকেসিএ)-য় আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ ফারুক। যদিও ইডি-র অভিযোগকে অস্বীকার করে ফারুকের দলের দাবি, এটি বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসামূলক এবং বিভাজনের রাজনীতির উদাহরণমাত্র। ফারুকের ছেলে তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।

জেকেসিএ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ২০১৮-তে ফারুকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি। ওই মামলায় ফারুক ছাড়াও আরও তিন জনের বিরুদ্ধে ২০০২-’১১ সালের মধ্যে ক্রিকেট সংস্থার ৪৩.৬৯ কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ করা হয়েছে। ইডি-র দাবি, ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফারুক জেকেসিএ থেকে ৪৫ কোটি টাকারও বেশি সরিয়ে ফেলেছেন।

শনিবার জম্মু-কাশ্মীরে ফারুকের তিনটি বসতবাড়ি, একটি বাণিজ্যিক এবং চারটি জমি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। ওই সম্পত্তির পরিমাণ ১১.৮৬ কোটি টাকা। সংবাদমাধ্যমের কাছে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাজারদর অনুযায়ী এপ মূল্য ৬০-৭০ কোটি টাকার কাছাকাছি হবে।

আরও পড়ুন: বৈঠকে ‘বিক্ষুব্ধ’দের বার্তা রাহুলের, ফের কি ফিরবেন সভাপতি পদে?

আরও পড়ুন: রোহিত ভেমুলার ভাই হলেন আইনজীবী, মা বললেন, ‘সমাজকে ফিরিয়ে দিলাম’

ফারুকের বিরুদ্ধে ইডি-র এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবেই দেখছে তাঁর দল। সম্প্রতি উপত্যকায় ১০টি বিরোধী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ফারুক। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবি তুলে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে ওই জোট। ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লারেশন’ (পিএজিডি) বা গুপকর জোটের মাধ্যমে দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হওয়াতেই বিজেপি সরকার এই প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতারা। তাঁদের মতে, “বিজেপি-র আদর্শ এবং বিভাজনের রাজনীতির বিরোধিতা করলে এই মূল্যই চোকাতে হয়।”

প্রতিহিংসাবশতই যে তাঁর বাবার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন ওমর আবদুল্লাও। আবদুল্লার টুইট, ‘বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি আমাদের পৈতৃক। গত শতকের সাতের দশক থেকেই তার অধিকার রয়েছে। নতুন যে নির্মাণ হয়েছে, ত ২০০৩ সালে করা। এর কোনও যৌক্তিকতা নেই। কারণ যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা তদন্তাধীন ‘অপরাধের’ নামমাত্র মূল্যও নয়’।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy