সিংঘুতে চলছে কৃষক আন্দোলন। ছবি: পিটিআই।
সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে তাঁরাও করোনার টিকা নেবেন না। রবিবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকরা।
সূত্রের খবর, দিল্লিতে যত কৃষক আন্দোলন করছেন তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশের বয়স পঞ্চাশের উপরে। কিন্তু তাতেও পরোয়া নেই তাঁদের। পঞ্জাবের মোগা জেলা থেকে আসা চামকৌর সিংহ, দেবেন্দ্র সিংহরা সাফ জানিয়েছেন, দিল্লি ছেড়ে তাঁরা টিকা নেওয়ার জন্য গ্রামে ফিরবেন না। সরকার যত ক্ষণ না আইন প্রত্যাহার করবে, তত ক্ষণ টিকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানান তাঁরা।
চামকৌর সিংহ বলেন, “চিকিৎসকদের কাছ থেকে শুনেছি যাঁদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁরাই প্রভাবিত হচ্ছেন বেশি। দিল্লির রাস্তায় হাজার হাজার গরিব মানুষ রয়েছেন। যাঁদের হাত ধোয়ার মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। না আছে মাস্ক। তারা কী ভাবে এই ভাইরাসকে সামলাচ্ছে?” চামকৌরের দাবি, লকডাউনটা শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে করা হয়েছিল যাতে এই সুযোগে সরকার কোনও বাধা ছাড়াই কৃষি আইন পাশ করিয়ে নিতে পারে।
আরও পড়ুন: আজ নন্দীগ্রামে সভা মমতার, ডাক নেই দুই অধিকারীর, যাবেন না তাঁরাও
চমাকৌরের মতো বহু আন্দোলনকারীর গলায় একই সুর শোনা গিয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, কোভিডে মৃত্যুর হার নিয়ে সরকারের দাবিকে তাঁরা বিশ্বাস করেন না। ফিরোজপুর থেকে আসা বলপ্রীত সিংহ বলেন, “আন্দোলনের শুরু থেকেই আমরা এখানে আছি। এক একটি দলে ১০০-২০০ জন। কী ভাবে সামাজিক দূরত্ব মানব!” এই রোগের থেকে রোগের ভয় আরও বেশি মারাত্মক বলে দাবি বলপ্রীতের। তিনি বলেন, “আমাদের জমি, বাড়ি যদি হাতছাড়া হয়, তা হলে টিকা নিয়ে কী লাভ?”
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে মন্তব্য নয়, নেতাদের কড়া বার্তা বিজেপির
তবে চামকৌর বা বলপ্রীতরা টিকা নিতে অস্বীকার করলেও আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা টিকার বিরুদ্ধে যেতে চান না। পঞ্জাব থেকে আসা কৃষক কুলদীপ কৌর বলেন, “আমাদের গ্রামে কোভিডের সংক্রমণ নেই। তবুও বাড়ি ফিরলে আমি টিকা নেব। এখানে টিকা দিতে এলেও তা নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy