ফাইল চিত্র।
গাছের ডালে দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানোর আগে সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিলেন আত্মঘাতী কৃষক— মুখ্যমন্ত্রী না আসা পর্যন্ত যেন তাঁর শেষকৃত্য করা না হয়।
মহারাষ্ট্রের গরিব কৃষক ধানাজি চন্দ্রকান্ত ষাট হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীস কৃষকদের ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সেই মৌখিক আশ্বাস কোনও দাগ কাটতে পারেনি ৪৫ বছরের কৃষকটির মনে।
তাই ঋণ মকুবে সরকার কোনও পদক্ষেপ করার আগেই ধারের টাকা মেটাতে না পেরে আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন চন্দ্রকান্ত। উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের ভোট টানতে ঋণ মকুবের পথে হেঁটেছেন নরেন্দ্র মোদী। এখন সেই দাবি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যে-রাজ্যে। কৃষকদের দাবি নিয়ে আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছে বিজেপি-শাসিত হরিয়ানা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের কিছু প্রান্তে। আর মধ্যপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে কৃষক-মৃত্যুর ঘটনা আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। সব মিলিয়ে সরকারের তিন বছরে পৌঁছে এই প্রথম এক বড় ধাক্কার মুখোমুখি মোদী। তিন বছর ধরে যে মোদী নিজেকে গরিব ও কৃষকদের ‘মসিহা’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে এসেছেন, এখন তিনিই কাঠগড়ায়। আর সব আন্দোলনই হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে।
এমনকী, মধ্যপ্রদেশ সরকার স্বীকার করে নিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ২৮৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন:মন্দসৌর যেতে বাধা পেয়ে ঝড় তুললেন রাহুল
বিদেশে পাড়ি দেওয়ার আগে অবশ্য মোদী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীদেরও সতর্ক করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি এমন আকার নিয়েছে, যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে।
যে মোদী দেশে-বিদেশে পান থেকে চুন খসলে টুইট করেন, তিনিও চরম অস্বস্তির মধ্যে এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এরই মধ্যে খোদ কৃষিমন্ত্রী আজ বিরোধীদের সমালোচনার সুযোগ করে দিয়েছেন। রাজ্যে রাজ্যে চাষিদের মধ্যে যখন বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে, তখন কৃষিমন্ত্রী আজ ব্যস্ত ছিলেন যোগাভ্যাসে। বিহারের মোতিহারিতে বাবা রামদেবের সঙ্গে যোগ অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যা দেখে বিরোধীরা বলছেন, কৃষকরা এখন রাস্তায় আর মন্ত্রী ব্যস্ত যোগে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy