নতুন আইনে কোনও খামতি থাকলে তা বদল করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নতুন কৃষি আইন বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। সংসদে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের যেখানে ইচ্ছা, সেখানেই তাঁরা ফসল বিক্রি করতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নতুন আইনে কোনও খামতি থাকলে তা বদল করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
লোকসভায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের উপর বিতর্কে জবাবি ভাষণে কৃষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বুধবার মুখ খোলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘ওই আইনগুলির মাধ্যমে কৃষকদের সামনে কেবলমাত্র একটি বিকল্প ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। এটা ঐচ্ছিক, বাধ্যতামূলক নয়। কৃষিক্ষেত্রে নতুন ব্যবস্থার বদলে কৃষকেরা যদি পুরনো ব্যবস্থায় মুনাফা পান, তাঁরা সেটাই ব্যবহার করতে পারেন। কৃষকদের কাছে যেখানে খুশি ফসল বিক্রির সুবিধা রয়েছে।’’ পাশাপাশি, মোদীর দাবি, ‘‘এই আইনে কোনও খামতি থাকলে তা বদলে ক্ষতি নেই।’’ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কৃষকদের কাছে জানতে চাই, নতুন ব্যবস্থায় কি তাঁদের কাছ থেকে কিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে? এই আইনের মধ্যে দিয়ে আগের থেকে কিছু কি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে? কী হয়েছে?’’
৩টি কৃষি আইনের বিরোধিতায় দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের আন্দোলন চলেছে গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে। বিরোধীদের সমালোচনার মুখেও পড়েছে নয়া আইনগুলি। তবে মোদীর দাবি, ‘‘কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার জরুরি ছিল। কৃষি আইন হলেও পুরনো কিসান মান্ডি বন্ধ হয়নি। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-ও বন্ধ হয়নি। এই আইনগুলি জারি করার পর এমএসপি-তেও কেনাবেচা বেড়েছে।’’
কৃষকদের জোরদার আন্দোলনের পিছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘কৃষি আইন নিয়ে দেশ জুড়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। দিল্লির বাইরে যে কৃষক ভাইবোনেরা বসে রয়েছেন, তাঁরা ওই গুজবের শিকার। কৃষি আইন নিয়ে যে সমস্ত ভুল ধারণা ছড়ানো হয়েছিল, তার শিকার হয়েছেন ওঁরা।’’ নতুন কৃষি আইন যে কোনও ‘বন্ধন’ নয়, তা-ও দাবি করেছেন তিনি। কৃষি আইনকে গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে মোদী বলেন, ‘‘কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য আমরা সৎ ভাবে প্রচেষ্টা করেছি। এ নিয়ে কৃষকদের আশঙ্কাও বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।’’
বিরোধীদের সমালোচনার পাশাপাশি ফের মোদীর মুখে উঠে আসে ‘আন্দোলনজীবী’ মন্তব্য। তিনি বলেন, ‘‘কৃষকদের আবেগের মর্যাদা দিয়ে কৃষি আইন নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তবে কৃষকদের পবিত্র আন্দোলনকে অপবিত্র করেছেন আন্দোলনজীবীরা। পঞ্জাবের টেলিফোন টাওয়ারে বা টোলপ্লাজায় যে ভাঙচুর হয়েছে, তা ওই আন্দোলনজীবীদের কাজ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy