দিল্লির গাজিপুর সীমানায় ঠান্ডায় অবস্থান আন্দোলনকারী কৃষকদের। পিটিআই
কম্বলের উপরে জলের ফোঁটা পড়ছে টপ টপ করে। বৃষ্টি শুরু হল নাকি? মঙ্গলবার ভোররাতে আচমকা ঘুম ভেঙে গিয়েছিল রামপাল জাট, যোগেন্দ্র যাদবদের। রাজস্থান-হরিয়ানা সীমানায় শাহজাহানপুর-খেরাতে রবিবার থেকে ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের এক দিক অবরোধ করে বসে রয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। সেখানে প্রতিবাদী চাষিদের মাথার উপরে শামিয়ানা রয়েছে। কিন্তু তাতে পলিথিনের শিট নেই। ঘুম চটে যাওয়ার পরে রামপালরা বুঝেছেন, বৃষ্টির জল নয়, আসলে শিশির। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা।
এ দিন ভোররাতে ৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে দিল্লির সফদরজঙ্গের তাপমাত্রা। জাফরপুরে ৩.৬ ডিগ্রি। এ বারের শীত-মরসুমে সর্বনিম্ন। আবহাওয়া দফতর শৈত্যপ্রবাহ ঘোষণা করে দিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই প্রবল ঠান্ডায় কৃষকেরা খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে বাধ্য হলেও, মন গলছে না মোদী সরকারের। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, “দিল্লির কনকনে ঠান্ডায় কৃষকদের ২০ দিনের বিরোধের পরেও মোদী সরকার আইন প্রত্যাহার না-করার বিষয়ে অনড়। সহজ পন্থা হল, আইন প্রত্যাহার করা হোক। নতুন আইন তৈরি হোক সকলের সঙ্গে আলোচনা করে।”
শীতের সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় বাড়তে শুরু করেছে কুয়াশা। মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সীমানা থেকে ফেরার সময়ে দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় পঞ্জাবের চার জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত আট জন। আন্দোলন শুরুর পর থেকে এর আগেও অন্তত ১৫ জন প্রতিবাদী কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার সিংঘুতে প্রাণ গিয়েছে মাখন খান নামে আর এক কৃষকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy