Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Farm Bill 2020

কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সামলাতে ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী সরকার

এর আগেও কৃষকদের বিক্ষোভ কমানোয় উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্র। তবে ১৪ অক্টোবর কৃষিসচিব সঞ্জয় আগরওয়ালের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বার হয়নি।

রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। —ফাইল চিত্র।

রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৫০
Share: Save:

পঞ্জাব-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার কৃষক সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর এবং পীযূষ গয়াল। এই নিয়ে গত দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার রফাসূত্রের খোঁজে বৈঠক ডাকল কেন্দ্র।

এ দিন নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের অন্তত ৪০ জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা। বৈঠকের পূর্বশর্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী তোমর এবং রেল, খাদ্য তথা উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী গয়াল।

এর আগেও কৃষকদের বিক্ষোভ কমানোয় উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্র। তবে ১৪ অক্টোবর কৃষিসচিব সঞ্জয় আগরওয়ালের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বার হয়নি। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বন্ধ করতে রাজি হননি কৃষক নেতারা। এর পর বৈঠকে আমলার বদলে মোদী সরকারের মন্ত্রীদের উপস্থিতির দাবি জানিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি।

আরও পড়ুন: ৩৩ থেকে কমতে কমতে ১! বিহারে একমাত্র নির্দল বিধায়ক হলেন সুমিত

আরও পড়ুন: ক্ষমা চাওয়া বা টুইট সরানোর প্রশ্নে ‘না’, আদালত অবমাননার অভিযোগেও অনড় কুণাল

সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিলে সংশোধন করে আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে এর বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষত, পঞ্জাবে সেই বিক্ষোভের আগুন তীব্র হতে থাকে। রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জানায় কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, নতুন আইনের ফলে লোকসানের মুখে পড়বেন কৃষকেরা। ফসল নিয়ে তাঁদের দরাদরির ক্ষমতা কমে যাবে, প্রচলিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন তাঁরা। পাশাপাশি, বেসরকারি এবং বড় সংস্থাগুলির কাছে কৃষিপণ্য মজুত রাখার রাস্তাও খুলে যাবে। যদিও মোদী সরকারের পাল্টা দাবি, নতুন কৃষি আইনে কোনও ভাবে কৃষকেরা বঞ্চনার শিকার হবেন না। এমএসপি ব্যবস্থাও থাকবে। তবে কৃষকেরা সরকারের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, এমএসপি ব্যবস্থাকে আইনে পরিণত করুক সরকার।

এ দিনের বৈঠকে আগে অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি-র সচিব অভীক সাহা জানিয়েছেন, কৃষি আইন সংক্রান্ত এই বিষয়গুলি যথেষ্ট জটিল। তাঁর কথায়, “সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বৈঠক শেষ হলেই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE