ফাইল চিত্র।
আমেরিকার কুখ্যাত বাজারের তালিকায় স্থান পেল কলকাতার খিদিরপুরের ‘ফ্যান্সি মার্কেট’। এ ছাড়া এই তালিকায় উঠে এসেছে স্ন্যাপডিল-সহ ভারতের আরও ৩টি বাজারের নাম। যার মধ্যে মুম্বইয়ের হিরা পান্না এবং দিল্লির পালিকা বাজার এবং ট্যাঙ্ক রোড রয়েছে।
‘২০২০ রিভিউ অব নটোরিয়াস মার্কেটস ফর কাউন্টারফিটিং অ্যান্ড পাইরেসি’ নামক একটি সমীক্ষা চালায় ‘অফিস অব দ্য ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)’। সেই তালিকাতেই ভারতের এই ৪টি বাজারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইউএসটিআর ৩৯টি অনলাইন বাজার এবং ৩৪টি সাধারণ বাজার চিহ্নিত করেছে, যেগুলো নকল এবং পাইরেটেড জিনিস বিক্রি করে। এই ধরনের নকল এবং পাইরেটেড সামগ্রী রফতানি হওয়ায় আমেরিকার বাজারে ছেয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউএসটিআর।
ইউএসটিআর-এর সদস্য রবার্ট লিথিজার জানিয়েছেন, এই ধরনের সামগ্রী আমেরিকার বাজারে ছেয়ে যাওয়ায় সে দেশের বিভিন্ন সংস্থা এবং গ্রাহকদের বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। নজরদারির অভাবেই ফাঁকফোকর গলে এই ব্যবসার রমরমা বেড়েছে বলে দাবি লিথিজারের। তাঁর মতে, নকল এবং পাইরেটেড জিনিসের রমরমা ঠেকাতে সরকারের পাশাপাশি যে সংস্থাগুলো এই সব সামগ্রী বিক্রি করছে তাদেরও নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত।
ইউএসটিআর জানিয়েছে, গত বছরে এই ধরনের সামগ্রী বিক্রির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে স্ন্যাপডিল-এর বিরুদ্ধে। যা খুবই উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন লিথিজার। ইউএসটিআর আরও জানিয়েছে, ২০১৮-য় যে সমীক্ষা করা হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, ৩৭ শতাংশ গ্রাহক স্ন্যাপডিলের বিরুদ্ধে ভুয়ো জিনিস বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন। ২০১৯-এ স্ন্যাপডিল কর্তার বিরুদ্ধে ভারতে নকল দ্রব্য বিক্রির অভিযোগ ওঠে।
ইউএসটিআর-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুম্বইয়ের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা হীরা পান্না ইন্ডোর মার্কেটে দামি ব্র্যান্ডের নকল ঘড়ি, জুতো, পোশাক থেকে শুরু করে প্রসাধনী সামগ্রীতে ছেয়ে গিয়েছে। ওই রিপোর্টে খিদিরপুরের ফ্যান্সি মার্কেটের নামও এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়ছে, দিল্লির পালিকা বাজারও এই জাতীয় সামগ্রির জন্য বেশ পরিচিত। সস্তায় ট্রেন্ডি ঘড়ি, পোশাক মেলে এখানে। মূলত তরুণ প্রজন্মই এই বাজারের ক্রেতা। তা ছাড়া বিদেশিদের কাছেও এই বাজারের জনপ্রিয়তা রয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে ট্যাঙ্ক রোড মার্কেটের ক্ষেত্রেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy