কাশ্মীরে পোস্টপেড পরিষেবা চালু হওয়ার পর ফোনে ব্যস্ত এক মহিলা। ছবি: পিটিআই।
দুপুরে কাশ্মীরে চালু হয়েছে পোস্টপেড মোবাইল পরিষেবা। তাতে কিছুটা স্বস্তিতে কাশ্মীরবাসীর একাংশ। সেই স্বস্তি ছুঁয়েছে শ্রীনগরের রাওয়ালপোরায় মজ়াজ আহমেদ বাটের বাড়িটাকেও। প্রায় আড়াই মাস পরে বাড়ির মেয়ের গলা শুনতে পেয়েছে গোটা পরিবার। বাড়িতে ল্যান্ডলাইন নেই মজাজ়দের। মজাজ়ের দিদি ইরম দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের ছাত্রী। নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে ইরমের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের। মজাজ়-ইরমের বাবা আব্দুল রশিদ বাট স্বাস্থ্য দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। অফিসের ফোন থেকে তিনিই শুধু বার কয়েক মেয়ের খবর নিতে পেরেছিলেন।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মজাজ় জানাচ্ছেন, জুলাইয়ে এক বার শ্রীনগরে এসেছিলেন ইরম। বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন ইদের সময়েও। তবে উপত্যকার পরিস্থিতি দেখে নিষেধ করেন বাবাই।
আজ পোস্টপেড চালু হতেই দিদিকে ফোন করে মজাজ়। ইরম তখন কলেজে। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি ক্লাসের বাইরে বেরিয়ে আসেন ইরম। মজ়াজ বলছে, ‘‘কথা বলতে পেরে দিদি খুব খুশি। মা তো ফোনটা প্রায় কেড়েই নিল হাত থেকে। মা ডায়াবিটিসের রোগী। কয়েক দিন ধরে উদ্বেগেও ভুগছিল। দিদির সঙ্গে কথা বলে এখন যেন খানিকটা শান্ত।’’ মজাজ়ের কথায়, ‘‘রাজ্যের অবস্থা নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করি দিদিকে। মায়ের শরীর নিয়েই কথা বলেছে ও।’’ দিদির সঙ্গে কথা বলেই স্কুলের এক বন্ধুকে ফোন করে মজ়াজ। স্কুলের পড়াশোনা বা পরীক্ষার ব্যাপারে অনেক দিন কোনও কথা হয়নি তাদের। মজাজ় বলছে, ‘‘বন্ধু বলল বাইরে না বেরোতে পেরে ও মোটা হয়ে গিয়েছে।’’
মজাজ়ের আর এক দিদি আফসানা শ্রীনগরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী। ইন্টারনেট না থাকায় পোস্টপেড মোবাইলের বিল মেটাতে পারছেন না তিনি। ইরমকেই দিল্লি থেকে আফসানার বিল মেটাতে বলেছে মজাজ়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy