Advertisement
০৭ জুলাই ২০২৪
UP Crime News

বাড়ির অমতে বিয়ে, গয়না বন্ধক রেখে যুবককে মারতে খুনি ভাড়া করল পরিবার! গ্রেফতার বাবা, কাকা

উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার পাঁচ বছর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন এক তরুণী। তাঁর স্বামীকে তাঁরই পরিবারের সদস্যেরা ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করিয়েছেন বলে অভিযোগ।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ১৪:১৪
Share: Save:

বিয়ের পাঁচ বছর পর বরকে নেমন্তন্ন করে খুন করাল কনের পরিবার। ঘটনায় কনের বাবা এবং কাকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুপারি কিলার নিয়োগ করে যুবককে খুন করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। দু’জন ভাড়াটে খুনিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার। সেখানকার বাসিন্দা এক তরুণী পাঁচ বছর আগে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করেছিলেন। বিয়েতে মত ছিল না তাঁর বাবা, মা, কাকাদের। বিয়ের পর থেকে আলাদাই থাকতেন দম্পতি। কিছু দিন আগে ওই তরুণীর বাবা যুবককে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। তিনি সব তিক্ততা মিটিয়ে ফেলতে চান বলে জানিয়েছিলেন। যুবকও তাই শ্বশুরবাড়িতে যেতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন এক কথায়।

নির্ধারিত দিনে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে চা, জলখাবার খান যুবক। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর উপর আক্রমণ চালানো হয় বলে অভিযোগ। গলা টিপে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে।

গত ১৬ জুন যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল রাস্তার ধার থেকে। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, কে বা কারা খুন করল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছিল। সম্প্রতি রহস্যের কিনারা করা গিয়েছে। যুবকের স্ত্রীর বাবা, কাকা-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও দু’জন পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের খোঁজ চলছে। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, তরুণীর পরিবার নিজেদের গয়নাগাটি বন্ধক রেখে যুবককে মারার জন্য খুনি ভাড়া করেছিলেন। বাড়ির অমতে বিয়ে করার আক্রোশ থেকেই এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

UP Crime Death News Murder Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE