সত্যপাল মালিক
সংবিধানের ৩৫-এ ধারা খারিজ করতেই কাশ্মীরে ১০ হাজার বাড়তি সেনা পাঠিয়েছে কেন্দ্র— এমন জল্পনায় জল ঢাললেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের মন্তব্য, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব প্রচার হচ্ছে, তেমন কোনও নির্দেশ জারি হয়নি। কাশ্মীর এমন একটি জায়গা, যেখানে লাল চকে কারও হাঁচি হলে, তা রাজভবনে বোমা বিস্ফোরণ বলে দেখানো হয়। প্রতিদিনই গুজব ছড়ানো হচ্ছে, কেউ এ সবে কান দেবেন না।’’
উপত্যকায় জলঘোলা শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি মেরামতে নেমেছে বিজেপি-ও। আধা সেনা পাঠানোর পিছনে একাধিক কারণ ব্যাখ্যা করে তাদের একাংশের বক্তব্য, কাশ্মীরের এক লক্ষ মানুষ সম্প্রতি বিজেপির সদস্য হয়েছেন। উপত্যকার বিজেপি-ঘেঁষা গ্রাম প্রধানেরা নিজেদের গ্রামে ১৫ অগস্ট জাতীয় পতাকা তুলতে চান। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ‘‘যাঁরা পতাকা তুলতে চান, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। নতুন বাহিনীর কাজ হবে নিরাপত্তার দিকটি দেখা।’’ যে বাহিনী সেখানে রয়েছে, তারা কেন ওই কাজে অপারগ? এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বাড়তি আধা সেনা নিয়ে বিজেপির অন্য একটি অংশের যুক্তি, সাধারণত কোনও বাহিনীকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে হাল্কা ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়। যে আধা সেনা বাহিনী কাশ্মীরে আগে থেকেই রয়েছে, তারা লোকসভা নির্বাচন, সন্ত্রাসবাদী হামলা, অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তার মতো গুরুদায়িত্ব পালন করেছে। তাই তাদের হাল্কা দায়িত্বের কাজ দিতেই নতুন করে বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত। এ ছাড়া, জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ শেষ হবে বছরের শেষেই। তাই উপত্যকায় বরফ পড়ার আগেই নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র।
শাসক দলের এক নেতা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন প্রার্থীরা। অথচ, লোকসভায় ওমর আবদুল্লা বা মেহবুবা মুফতির দল মাত্র ৭-৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। মানুষ ওই দুই দলের শাসনে ক্ষুব্ধ। তাঁরা পরিবর্তন চাইছেন। বিজেপি চাইছে রাজ্যে দ্রুত বিধানসভা নির্বাচন করাতে। নয়া বাহিনী পাঠানোর সেটিও একটি কারণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy