ব্রিটেন সফরে গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে আলোচনা সারলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উঠে এল দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ।
বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন সে দেশের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামি এবং অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতা। জয়শঙ্করের কথায়, ‘‘১০, ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি তাঁদের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উষ্ণ অভ্যর্থনাও পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দু’দেশের জনগণের পারস্পরিক আদান-প্রদান বৃদ্ধির মতো দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে ব্রিটেনের দৃষ্টিভঙ্গিও ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার।’’
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, আমেরিকায় দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়ে অন্য অবস্থানের পথে হেঁটেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার বার্তাও দিয়েছিলেন। তার মাঝে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যে হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্প এবং ভান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। ভেস্তে যায় আমেরিকা-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি। ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠানোও বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। ওই বৈঠক থেকে চলে আসার পর জ়েলেনস্কিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন স্টার্মার। ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। এ বার সে নিয়ে নিজের বক্তব্যও জানালেন স্টার্মার।
এর আগে মঙ্গলবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব ইভেট কুপারের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন জয়শঙ্কর। সেখানে দুই নেতার মধ্যে মানবপাচার এবং চরমপন্থা মোকাবিলায় ভারত ও ব্রিটেনের যৌথ প্রচেষ্টার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডে সরকারি সফরে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। এই সময়ের মধ্যে ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড উভয় দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নতুন করে গতি সঞ্চারের চেষ্টা করবেন জয়শঙ্কর।