Advertisement
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
India-Maldives Relationship

মলদ্বীপ সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক, তার পর বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর কী বললেন?

তিন দিনের মলদ্বীপ সফরে শুক্রবার মালেতে পৌঁছে রাতেই মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জ়ামিরের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। শনিবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়।

(বাঁ দিকে) মহম্মদ মুইজ্জু। এস জয়শঙ্কর (ডান দিকে)।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৩৪
Share: Save:

মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার, তিন দিনের মলদ্বীপ সফরের দ্বিতীয় দিনে ওই বৈঠকের পরে এক্স হ্যান্ডলে জয়শঙ্কর লেখেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি সৌভাগ্যবান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছি‌ন তাঁকে।’’

বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এক্স পোস্টে জয়শঙ্কর লিখেছেন, ‘‘আমাদের জনগণ এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক আরও গভীর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ফের ক্ষমতা দখলের পরে এই প্রথম মলদ্বীপ সফরে গেলেন জয়শঙ্কর। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মালে গিয়েছিলেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলে মালেতে পৌঁছে রাতেই মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জ়ামিরের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির অন্যতম ভিত্তিই হল মলদ্বীপ। ভারতের কাছে প্রতিবেশী হল অগ্রাধিকার আর প্রতিবেশীদের মধ্যে মলদ্বীপ হল আমাদের অগ্রাধিকার। দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কও খুব নিবিড়।’’

গত জানুয়ারিতে মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর মোদী-বিরোধী মন্তব্যের পরে নয়াদিল্লি-মালে কূটনৈতিক টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত মুইজ্জু মে মাসের মধ্যে মলদ্বীপে সামরিক সহায়তায় অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পরে কার্যত সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আসে। জুন মাসে মোদী সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। এই পরিস্থিতিতে জয়শঙ্করের তিন দিনের মলদ্বীপ সফর কৌশলগত দিক থেকে নতুন গুরুত্ব পেয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, তাঁর এই সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার পাশাপাশি দু’দেশের স্বার্থের দিকগুলি চিহ্নিত করা হবে। বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তিও সই হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE