প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করে জঙ্গলে দেহের টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন আফতাব আমিন পুণাওয়ালা। ছবি: ফেসবুক।
প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করে জঙ্গলে দেহের টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন আফতাব আমিন পুণাওয়ালা। দিল্লির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। প্রশ্ন উঠেছে আফতাবের মানসিক স্থিতি নিয়ে। অনেকেই মনে করছেন, যুবক আদতে সাইকোপ্যাথ। তাঁর মানসিক বিকৃতি রয়েছে। ফলে এর আগেও তাঁর এমন অপরাধের নজির থাকতে পারে। অর্থাৎ, প্রেমিকা শ্রদ্ধা প্রথম নন, অতীতে আরও কেউ কেউ আফতাবের শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আফতাবের ঘটনা প্রসঙ্গে মনোবিজ্ঞানী সন্দীপ ভোরার মতে, ‘‘হয় উনি এক জন দাগী অপরাধী, নয়তো সম্পূর্ণ মানসিক বিকারগ্রস্ত বা সাইকোপ্যাথ। অতীতে ওঁর এমন অপরাধের নজির থাকলেও থাকতে পারে।’’ সাধারণ মানুষের মানসিক পরিস্থিতি আফতাবের মতো কাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘যে ব্যক্তির স্বাভাবিক মানসিক পরিস্থিতি রয়েছে, তাঁর পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। আফতাব যা করেছেন, তার ১ শতাংশও সাধারণ কারও পক্ষে সম্ভব নয়। সাধারণত এই ধরনের লোকজনের মধ্যে অপরাধমূলক প্রবণতা আগে থেকেই দেখা যায়। অথবা, তাঁরা মানসিক বিকারগ্রস্ত হন।’’
অতীতে এমন কোনও কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন আফতাব। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, হয়তো অতীতের সেই নৃশংসতা থেকেই ফের একই ধরনের কাজ করার সাহস পেয়েছেন তিনি। যে বাড়িতে খুন করেছেন, সেই বাড়িতেই থাকছিলেন আফতাব। তা-ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিক মানসিক পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয় বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
লিভ ইন সঙ্গী তথা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন আফতাব। ৩৫টি টুকরোয় ভাগ করা হয় শ্রদ্ধার দেহ। এখানেই শেষ নয়, পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, একটি ৩০০ লিটারের নতুন ফ্রিজ কিনে তার মধ্যে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি সাজিয়ে রেখেছিলেন আফতাব। প্রতি দিন রাতে একটি করে দেহাংশ নিয়ে যেতেন নিকটবর্তী জঙ্গলে। সেখানে গিয়ে একটি করে টুকরো ফেলে আসতেন। রাত ২টো বাজলেই দেহাংশের প্যাকেট নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন আফতাব।
জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধাকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না আফতাব। বিয়ের জন্য প্রেমিকা জোরাজুরি করলে তাঁকে খুন করেন। তার পর প্রেমিকার মৃতদেহের সঙ্গে নৃশংস কাণ্ড ঘটান তিনি। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy