প্রতীকী ছবি
রাস্তায় নয়, উৎসবের দিন কাটুক ইন্টারনেটের অলি-গলিতে ঘুরে। উৎসব উদ্যাপন করুন বাড়িতে বসে, পরিবারের সঙ্গেই। আসন্ন দুর্গা পুজো, দীপাবলি বা ইদে রাস্তায় বেরিয়ে করোনাকে নতুন ইন্ধন না জোগাতে আজ ফের দেশবাসীকে বার্তা দিল কেন্দ্র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের আশঙ্কা, উৎসবের মরসুমে বেলাগাম ভিড় দুর্বল হয়ে পড়া করোনাভাইরাসকে নতুন শক্তি সঞ্চয়ের ইন্ধন জোগাতে পারে। আর তাই যদি হয়, তা হলে কোভিডের তৃতীয় ঢেউকে রোখা সম্ভব হবে না। নতুন করে লকডাউন, অর্থনীতির সঙ্কোচনের মুখে পড়তে পারে দেশ।
গত বারও উৎসবের মরসুমের পরে দেশে লাফ দিয়ে বেড়েছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে এ বছর ওনাম উৎসবে মেতেছিলেন কেরলবাসী। যার ফলে দক্ষিণের ওই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ এক সময়ে কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। সামনেই দুর্গা পুজো, দশেরা, দিওয়ালি, ইদ-সহ অনেক উৎসব। অন্তত এ বছর যাতে মানুষ ওই সব উৎসব বাড়িতে থেকেই উদ্যাপন করেন কোভিড চর্চা নামে একটি আলাপচারিতায় আজ এই আবেদন জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘উৎসবে জনসমাগম বৃহত্তর এলাকায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে। করোনাভাইরাস নিজে থেকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না, যদি না আমরা তাকে সুযোগ দিয়ে থাকি। তাই রাস্তায় না বেরিয়ে অনলাইনে উৎসব উদ্যাপন হোক।’’ তাঁর পরামর্শ, আত্মীয়দের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হোক অনলাইনে। কোভিড-নীতি মেনে চলা ও টিকা নেওয়ার উপরেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন লব।
দেশে আগের চেয়ে সংক্রমণ অনেক কমেছে। তার মানেই করোনাভাইরাস ক্লান্ত হয়েছে গিয়েছে বলে মনে করছেন না স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। সামান্য ইন্ধন পেলেই সংক্রমণ নতুন করে পুরোদমে মাথাচাড়া দিতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। লবের কথায়, ‘‘ভাইরাস এখনও ক্লান্ত হয়নি। উল্টে চরিত্র পরিবর্তন করে চলেছে। তাই আমাদেরও গা-ছাড়া মনোভাব ঠিক কাজ হবে না।’’ তাঁর মতে, আগামী তিন মাসে একাধিক উৎসব রয়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে নিজেদের গতিবিধিকে সীমাবদ্ধ রেখে সংক্রমণকে রুখতে হবে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, আগামী তিন মাস দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড় মাপের পরীক্ষা। যদি নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানো রোখা যায়, তা হলে আগামী বছরকে ‘কোভিড-মুক্ত বছর’ হিসাবে উদ্যাপন করতে পারবেন দেশবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy