নিজস্ব চিত্র
কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই ছাড়পত্র দিয়েছিল ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’-এর পর্যায়ে। এ বার সেই বাধা সরিয়ে দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানাল, এ বার সার্বিক ভাবে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল হাতে পাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনার বিরুদ্ধে ভারতে তৈরি প্রথম করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর দেশে একদিকে জরুরি ভিত্তিতে কোভিশিল্ড ব্যবহারের যেমন অনুমতি দেওয়া হয়, তেমনই কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করতেও অনুমতি দেয় কেন্দ্র। কোভিশিল্ড থেকে একধাপ পিছিয়ে ছিল কোভ্যাক্সিন। কারণ সেটির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল একপ্রকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ‘ট্রায়াল মোড’-এ। সেই কারণেই অনেকেই এই টিকা নিতে পিছিয়ে আসছিলেন। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল হাতে আসার আগেই এ ভাবে টিকা প্রয়োগ শুরু করা ঠিক হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই বাধা কাটিয়ে ফেলল কোভ্যাক্সিন।
মার্চ মাসের ৩ তারিখে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল ঘোষণা করে ভারত বায়োটেক। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়, তৃতীয় পর্যায়ের পর দেখা গিয়েছে এই টিকা ৮১ শতাংশ কার্যকর। মোট ২৫, ৮০০ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য এই টিকা প্রয়োগ করা হয়। ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষের শরীরে এই টিকার কার্যকারিতার পরীক্ষা চলে। আইসিএমআর গোটা প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধানে ছিল। তারপরেই জানানো হয়, ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন ৮১ শতাংশ কার্যকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy