এক হাজার কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। ফাইল ছবি।
কর্মচারী ভবিষ্যনিধি বা ‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন’ (ইপিএফও)-তে বড়সড় জালিয়াতির সন্ধান পাওয়া গেল। তদন্ত শুরু করল কর্মীদের অবসরকালীন ভাতা প্রদানকারী সংস্থা। প্রায় এক হাজার কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। মুম্বইয়ের শহরতলি শাখার এক কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাতে টাকা পাঠিয়ে অথবা বন্ধ সংস্থার দাবির নিষ্পত্তি করার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা নয়ছয় করা হত বলে অভিযোগ। জেট এয়ারওয়েজের পিএফ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেও এ ভাবেই টাকা জালিয়াতি করা হয়েছিল। মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে জেট পরবর্তীকালে ‘ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল’ (এনসিএলটি)-তে যায়।
ইপিএফওতে সম্ভাব্য জালিয়াতির অঙ্ক এক হাজার কোটি টাকা। এ বিষয়ে ইপিএফওর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য প্রভাকর বানাসুরে বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট এই বেআইনি কার্যকলাপের জেরে আমরা আশঙ্কা করছি এক হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি হয়ে থাকতে পারে। সংস্থাকে কলঙ্কিত করার জন্য দোষীকে শাস্তি পেতেই হবে।’’
সূত্রের খবর, জালিয়াতির জেরে নির্দিষ্ট ভাবে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা বুঝতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভিজিল্যান্স বিভাগ পুরনো নথি খতিয়ে ক্ষতির অঙ্ক বোঝার চেষ্টা করছে। দ্রুতই ইপিএফওর কেন্দ্রীয় বোর্ডের কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে।
সূত্রের খবর, জালিয়াতিটি সংগঠিত হয়েছে মুম্বইয়ের কান্দিভালি শাখায়। সেখানে তৎকালীন জেট এয়ারওয়েজের বিমান চালক এবং ক্রু মেম্বারদের ভবিষ্যনিধির খাতা এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। কান্দিভালি পিএফ অফিসের সিনিয়র সোশাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট মাচিন্দ্রা বামনেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইপিএফওর অভ্যন্তরীণ তদন্তে সন্দেহ, এনসিএলটিতে প্রবেশের আগে জেট এয়ারওয়েজের তৎকালীন বিমান চালক ও ক্রু মেম্বারদের ইপিএফও তহবিল ব্যবহার করে এই জালিয়াতি সংগঠিত হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy