Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Enforcement Directorate

বেআইনি চিনা অ্যাপের বিরুদ্ধে অভিযানে ইডি, বেঙ্গালুরুর ন’জায়গায় তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত ১৭ কোটি

বেআইনি চিনা অ্যাপের মাধ্যমে টাকা ধার নেওয়ার পর হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বহু গ্রাহক। তাঁদের অভিযোগ, ধার নেওয়া টাকার থেকে বেশি অথবা জোর করে টাকা আদায় চলছে।

টাকা ধার দেওয়ার বেআইনি চিনা অ্যাপের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু সাইবার অপরাধদমন শাখায় ১৮টি এফআইআর করা হয়েছে।

টাকা ধার দেওয়ার বেআইনি চিনা অ্যাপের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু সাইবার অপরাধদমন শাখায় ১৮টি এফআইআর করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৩৫
Share: Save:

আর্থিক দুর্নীতির একটি মামলার তদন্তে নেমে টাকা ধার দেওয়ার বেআইনি চিনা অ্যাপের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুক্রবার সাতসকালে বেঙ্গালুরুর ন’টি জায়গায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি ১৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তারা।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বেআইনি চিনা অ্যাপের মাধ্যমে টাকা ধার নেওয়ার পর হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বহু গ্রাহক। তাঁদের অভিযোগ, কখনও ধার নেওয়া টাকার থেকে বেশি আদায় করাও হচ্ছে। কখনও বা জোর করে টাকা আদায় চলছে। এ নিয়ে বেঙ্গালুরু সাইবার অপরাধদমন শাখায় ১৮টি এফআইআর করা হয়েছে। ওই অভিযোগগুলির উপর ভিত্তি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলাটি রুজু হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। ওই মামলার তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে যে, ওই বেআইনি চিনা অ্যাপগুলি নানা চিনা সংস্থা বা নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণাধীন। বহু ক্ষেত্রেই অ্যাপগুলি ওই সংস্থা বা নাগরিকেরাই চালাচ্ছেন।

ইডির দাবি, ওই সংস্থাগুলিতে ভারতীয়দের নামে ভুয়ো নথিপত্রের মাধ্যমে কাজকারবার করছে। এমনকি, সেগুলিতে ভুয়ো ডিরেক্টরদের ঢাল বানিয়ে গ্রাহকদের ধার দেওয়ার পর বিপুল টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন মার্চেন্ট আইডি এবং পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমেই তারা এ দেশে ব্যবসা ফেঁদে বসেছে বলেও অভিযোগ।

শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরুর র‌েজরপে প্রাইভেট লিমিটেড, ক্যাশফ্রি পেমেন্টস, পেটিএম পেমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড-সহ চিনা নাগরিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি সংস্থায় হানা দেয় ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে ওই সংস্থাগুলির ভুয়ো ঠিকানা দেওয়া হয়েছে।

ইডির অভিযানের কথা স্বীকার করেছেন রেজরপে-র মুখপাত্র। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বেশ কয়েকটি মার্চেন্টের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় বছর ধরে তদন্ত চলছে। সে তদন্তে ইডিকে পুরোপুরি সহযোগিতা করেছি আমরা। কেওয়াইসি-সহ যে সমস্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা-ও ইডিকে দেওয়া হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE