ছবি: সংগৃহীত
সময় আর প্রতীক্ষার উপর নির্ভর করে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ছয় রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য পা ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভোট করানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা নিয়ে কমিশনের অন্দরে নানাবিধ আলোচনা-চর্চা চলছে। চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ লগ্নে ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। ২০২১-এর ৩০ মে মেয়াদ শেষ হবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার। ওই সময় নাগাদই শেষ হবে তামিলনাড়ু এবং অসম বিধানসভার মেয়াদ। ২০২১-এর জুনের গোড়া পর্যন্ত রয়েছে কেরল ও পুদুচেরির বিধানসভার মেয়াদ।
সাধারণত, চলতি সময় থেকে আগামী বছরের এপ্রিল-মে-র ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে কমিশন। ইভিএম-সংক্রান্ত গাইডলাইন তৈরি, ইভিএমের হিসেব-নিকেশ, ইভিএম নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক, ভোটকর্মীদের হিসেব, ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত প্রস্তুতি চলতে থাকে। নতুন ভোটার বৃদ্ধির কারণে বুথ সংখ্যা বাড়ানোর হিসেবও করতে হয়। করোনা আবহে প্রস্তুতির সব কাজ থমকে রয়েছে। কমিশন কর্তাদের মতে, ‘‘সময়ের উপরে ভরসা করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে পুরো প্রক্রিয়া হবে।’’ জুলাই মাসে সংক্রমিতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ফলে অগস্ট মাসের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কমিশন কর্তারা।
এপ্রিলের মাঝামাঝি হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনে ভোটারদের মাস্ক, রবার গ্লাভস এবং স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা ছিল। ভোটকর্মীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ছিল মেডিকেল গ্লাভস ও পিপিই। বুথে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছিল। জ্বরের লক্ষণ থাকলে বুথের অন্যত্র ভোটের ব্যবস্থা ছিল। কোভিড-১৯ হাসপাতালের বাইরে আক্রান্তের জন্য বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দূরত্ববিধি বজায় রেখেই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়াবাসী। কিন্তু ভারতের ভোটে দক্ষিণ কোরিয়ার অনুসরণ করার মূল বাধা আর্থিক ব্যয় বলে মত কমিশনের একাংশের। কারণ, তাতে ভোটকর্মী, রক্ষী, ইভিএম ও বুথের সংখ্যা প্রচুর বাড়াতে হবে। মানসিকতার ফারাক নিয়ে কমিশন আধিকারিকদের বক্তব্য, ‘‘এ দেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বচ্ছতাকে মেলালে ভুল হবে।’’
আরও পড়ুন: সাবধান না হলেই বিপদ, বার্তা হু-র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy