ভোটের দিচ্ছেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। ছবি পিটিআই।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত গুজরাতে প্রায় ৫৭ শতাংশ ভোট পড়ল। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর্যন্ত ৫৬.৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে সে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার গুজরাতে প্রথম দফার নির্বাচন হয়। গুজরাতের মোট ১৮২টি বিধানসভার আসনের মধ্যে প্রথম দফায় কচ্ছ-সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাতের ১৯টি জেলার ৮৯ আসনে ভোটগ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। ৭৮৮ জন প্রার্থীর ভাগ্যে কী রয়েছে, তা জানতে আপাতত অপেক্ষা করতে হবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গুজরাতের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে ১৪,৩৮২টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। তা চলে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত। মোদী-শাহের রাজ্যের ৪ কোটি ৯১ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রথম দফায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা ছিল ২ কোটি ৩৯ লক্ষ জনের। দ্বিতীয় দফায় উত্তর ও মধ্য গুজরাতের ৯৩টি আসনে ভোট হবে আগামী সোমবার।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাতে ভোটদানের হার ছিল ৬৯ শতাংশের একটু বেশি। এর সঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটদানের হারকে তুলনা করলে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, এ বার অনেক কম মানুষ ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রচলিত একটি ধারণা হল, ভোটদানের হার কম হলে শাসক দল আবার ক্ষমতায় ফেরে। আর ভোটদানের হার তুলনায় বেশি হলে ধরে নেওয়া হয় শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করতেই বেশি সংখ্যক মানুষ ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। তবে অন্য অনেক ধারণার মতোই এ ধারণাও স্বতঃসিদ্ধ নয়। বহুবার এর ব্যতিক্রমও দেখা গিয়েছে। তবে ওই ধারণার কথা মাথায় রাখলে এই পরিসংখ্যান নিশ্চিন্তে রাখবে প্রায় তিন দশক গুজরাতে ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে।
প্রথম দফার উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা (জামনগর-উত্তর, বিজেপি), প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পরেশ ধনানী (অমরেলী, কংগ্রেস), ‘গডমাদার’ সন্তোকবেনের ছেলে তথা ‘বাহুবলী’ বিদায়ী বিধায়ক কন্ধাল জাদেজা (কুটিয়ানা) এবং আম আদমি পার্টি (আপ)-র ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা টিভি সঞ্চালক ইসুদান গঢ়বী (খম্বালিয়া), ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির নেতা তথা বিদায়ী বিধায়ক ছোটু বাসভ (ঝাগাড়িয়া)।
২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে এই ৮৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৮টি আসনে জিতেছিল। কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা জিতেছিল ৪০টিতে। পরবর্তী সময়ে কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এ বার ভোটের লড়াই ত্রিমুখী। কংগ্রেস এবং বিজেপির পাশাপাশি রয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আপ। সম্প্রতি সুরাত-সহ কয়েকটি শহরের পুরভোটে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আপ। এ বারের ভোটে কেজরীওয়াল ধারাবাহিক ভাবে গুজরাত জুড়ে প্রচার করেছেন। তাঁর দাবি, বিধানসভা ভোটেও বিজেপির মূল লড়াই হবে আপের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গুজরাতে ৯৯টি আসনে জিতে টানা পঞ্চম বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর সেটাই ছিল বিজেপির সবচেয়ে কম আসনপ্রাপ্তি। অন্য দিকে, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেককেই চমকে দিয়েছিল কংগ্রেস। নির্দল এবং অন্যেরা পেয়েছিল ৬টি আসন। এ বার ষষ্ঠ বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে আশাবাদী পদ্ম-শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy