খানিকটা ‘অপ্রত্যাশিত ভাবেই’ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন একনাথ শিন্ডে। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণাকারী এই শিবসৈনিক যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা সে ভাবে আন্দাজ করা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ায় বিজেপি ‘বড় মনের পরিচয় দিয়েছে’ বলে মোদী-শাহের স্তুতিও শোনা হিয়েছে শিন্ডের গলায়। বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার আগে আবারও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন একনাথ।
এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য কখনই দাবি জানাইনি। বালাসাহেবের হিন্দুত্বের মতাদর্শ এটা। মহাবিকাশ আঘাডী সরকারের প্রতি হতাশ ছিলেন দলের কর্মীরা। বিধায়করাও অসন্তুষ্ট ছিলেন। জোটের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জেরে তাঁরা কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেননি।’’
রবিবার বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচনের পর শিন্ডে বলেছেন, ‘‘বালাসাহেব ঠাকরের মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে এখন বিজেপি-শিবসেনা সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। বালাসাহেবের সৈনিক মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।’’
রাজনৈতিক টানাপড়েনের পর গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন শিন্ডে। বরাবরই নিজেকে ‘বালাসাহেবের সৈনিক’ হিসাবে তুলে ধরে বার্তা দিয়েছেন এই বিদ্রোহী বিধায়ক। যদিও উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, ‘‘শিন্ডে শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী নন।’’ সেই মন্তব্যের পরও যে ভাবে নিজেকে শিবসৈনিক হিসাবে বার্তা দিচ্ছেন শিন্ডে তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গে শিন্ডে বলেছেন, ‘‘বিজেপির ১১৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। আমাদের কাছে রয়েছে ৫০। কিন্তু তা সত্ত্বেও বড় মনের পরিচয় দিয়েছে বিজেপি। আমায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়েছে। আমি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডাকে ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রী পদের কোনও অভিজ্ঞতা আমার নেই।’’ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথের দিনও বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকার তারিফ করেছিলেন শিন্ডে।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সোমবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে একনাথ শিন্ডেকে।