নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
আট বছরের ছোট্ট মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল দিল্লির এক মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়েটির মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অভিযুক্তের। দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল সে। তাই পথের কাঁটা সরিয়ে দিতেই তাকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। তারপর ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই মাংসবিক্রেতার নাম রিজওয়ান ওরফে বাদশা। তিনি বিহারের বাসিন্দা, ২০ বছর আগে দিল্লিতে চলে এসেছিলেন তিনি। রাজধানীর তুর্কমান গেট এলাকায় মাংসের দোকান চালাতেন। নিয়মিত গাঁজার নেশাও করতেন রিজওয়ান। অভিযোগ, গত ৪ অগস্ট মধ্যরাতে নির্যাতিতা নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান তিনি। যমুনা খাদারের জঙ্গল এলাকায় শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করেন। তারপর তার গলা কেটে দেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে। খুনের পর বাচ্চাটির মুখও কেটে কেটে বিকৃত করে দেন অভিযুক্ত। সবটাই পুলিশের জেরার মুখে স্বীকার করেছেন রিজওয়ান।
নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, সে দিন রাতে স্ত্রী ও চার সন্তানের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। ভোরবেলা উঠে এক মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তন্নতন্ন করে খুঁজেও মেয়েকে না পেয়ে থানায় যান তিনি। অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই থেকেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। ৫০ জনের একটি দল খুঁজছিল অভিযুক্তকে। ১৮ অগস্ট ঝোপের মধ্যে থেকে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের পর এফআইআরে খুন এবং শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ যুক্ত হয়। অবশেষে সোমবার মূল অভিযুক্ত রিজওয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের জেরার মুখে রিজওয়ান স্বীকার করেছেন, মেয়েটির মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁর। দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল বাচ্চাটি। তাই পথের কাঁটা সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেন তিনি। ঘটনার দিন মেয়েটির বাড়ির কাছে গিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ গাঁজা টানেন রিজওয়ান। বাড়ির সকলের ঘুমিয়ে পড়ার জন্য অপেক্ষা করেন। তার পর চুপিচুপি বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুটিকে তুলে নিয়ে যান। ঝোপের মধ্যে তাকে ধর্ষণ করে খুন করেন রিজওয়ান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy