প্রতীকী ছবি।
দীপাবলি-ভাইফোঁটার আগে সর্ষের তেল-সহ ভোজ্য তেলের দাম কমাতে মরিয়া চেষ্টা করছিল মোদী সরকার। পাম, সোয়াবিন বা সূর্যমুখী তেলের দাম কমলেও, এত দিন সর্ষের তেলের দাম বিশেষ কমেনি। অবশেষে সরকারকে স্বস্তি দিয়ে ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিই সর্ষের তেল-সহ ভোজ্য তেলের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করল। তবে পাইকারি বাজারে লিটার প্রতি মাত্র ৪ থেকে ৭ টাকা দাম কমানো হবে বলে এই সংস্থাগুলি জানিয়েছে।
কলকাতার বাজারে এ দিনও লিটার প্রতি ২১৫ টাকার আশেপাশে সর্ষের তেল বিক্রি হয়েছে। দেশের অনেক জায়গায় ২৫০ টাকার কাছাকাছি দরে সর্ষের তেল বিক্রি হচ্ছে। ফলে মাত্র ৪ থেকে ৭ টাকা দাম কমলে সাধারণ মানুষের কতটা সুরাহা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
ভোজ্য তেল সংস্থাগুলির সংগঠন— সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন আজ জানিয়েছে, সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতেই তাঁরা তেলের দাম কমাচ্ছেন। এর মধ্যে আদানি উইলমার, রুচি সোয়া-র মতো প্রধান ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা রয়েছে। জেমিনি এডিবলস, মোদী ন্যাচারালস, গোকুল রিফয়েলস, বিজয় সলভেক্স, গোকুল অ্যাগ্রো, এন কে প্রোটিনস-এর মতো সংস্থাও তেলের দাম কমাচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল চতুর্বেদীর বক্তব্য, পাইকারি বাজারে প্রতি টন সর্ষের তেল এবং অন্যান্য ভোজ্য তেলে ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কমানো হচ্ছে। প্রতিটি সংস্থাই এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দাম কমাতে শুরু করেছে।
পেট্রল-ডিজ়েলের মতো ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্যও আন্তর্জাতিক বাজারের দামকেই দায়ী করেছিল কেন্দ্র। কারণ পাম, সোয়াবিন তেলের অধিকাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু সর্ষের তেলের দামের সঙ্গে আমদানির সম্পর্ক নেই। সরকারের যুক্তি ছিল, পাম-সোয়াবিনের দাম বাড়ছে বলে সর্ষের তেলের দামও বাড়ছে। চতুর্বেদীর যুক্তি, সোয়াবিন, বাদামের ফসলের ক্ষেত্রে এ বছর দেশে ভাল উৎপাদন হয়েছে। রবি মরসুমে সর্ষের তেলের চাষও খুব ভাল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারেও ভোজ্য তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে বিয়ের মরসুমের আগে ভোজ্য তেলের দাম আরও কমবে বলে শিল্পমহলের আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy