সিদ্দিকি কাপ্পান-সহ গ্রেফতার হওয়া এফপিআই-এর সদস্যরা। —ফাইল চিত্র
হাথরসে দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে আন্দোলনে নামা ভীম আর্মির নেতা চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর যোগসাজশের তত্ত্ব খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি সূত্রের আরও বক্তব্য, হাথরসে জাতপাতের সংঘর্ষ বাধাতে বিদেশ থেকে ১০০ কোটি টাকা এসেছিল, এমন কোনও তথ্য তাদের জানা নেই। যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ অবশ্য এই তত্ত্বকেই প্রতিষ্ঠা করতে চাইছিল।
দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজ লাল সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন, পিএফআইয়ের সঙ্গে যোগসাজস রয়েছে চন্দ্রশেখরের। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে। ব্রিজ লাল আরও অভিযোগ করেন, উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য পিএফআই ১০০ কোটি টাকা বিদেশি অনুদানের ব্যবস্থা করেছিল। তবে ইডি আজ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের লেনদেনের প্রমাণ তাদের কাছে নেই। একশো কোটি টাকা উদ্ধারের খবরও ভুয়ো।
ব্রিজ লাল আরও দাবি করেছেন, প্রথম দিন নির্যাতিতা এক জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেও, আট দিনের মাথায় তিনি গণধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তাঁর বক্তব্য, ঘটনার পরে হাথরসে জাতি-সংঘর্ষ বাধানোর উদ্দেশ্য ছিল আজাদের। নির্যাতিতার পরিবারকে উস্কানি দিচ্ছিলেন তিনি।
নির্যাতিতার পরিবারের সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে আজ জানিয়েছে পুলিশ। হাথরসের নতুন পুলিশ সুপার বিনীত জয়সওয়াল জানিয়েছেন, নির্যাতিতার পরিবারের জন্য ৬০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছেন মহিলা পুলিশও। পরিবারের প্রতি সদস্যপিছু দু’জন করে পুলিশকর্মী দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার বাড়ির আশপাশে লাগানো হয়েছে আটটি সিসি ক্যামেরাও। বাড়ির মূল দরজায় বসেছে মেটাল ডিটেক্টর। ডিআইজি সলভ মাথুর জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ওই গ্রামে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy