বিশ্ব জুড়ে অনিশ্চয়তার বাতাবরণ বহাল। কিন্তু তার মধ্যেও ভারত ভাল আর্থিক বৃদ্ধির মুখ দেখবে বলে মনে করে কেন্দ্র। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রকের মার্চের মাসিক রিপোর্ট অনুসারে, পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া, সংস্কারে জোর এবং পরিকাঠামোয় উন্নতি ও কর্মসংস্থান তৈরির হাত ধরেই তা সম্ভব হবে। তবে এর মধ্যেই বেসরকারি কর্পোরেট সংস্থাগুলির লগ্নির ভাটা যে চিন্তার কারণ, তা উঠে এসেছে কেন্দ্রের মূলধনী ব্যয় সংক্রান্ত রিপোর্টেই। যা জানাচ্ছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ওই সব সংস্থা লগ্নি করতে পারে ৪.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা। যা ২০২৪-২৫ সালের ৬.৫৬ লক্ষ কোটির চেয়ে প্রায় ২৫% কম।
অর্থ মন্ত্রকের মতে, দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের বৃদ্ধি নির্ভর করবে আর্থিক স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, রাজকোষ ঘাটতি এবং মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা নামানো এবং কাজের সুযোগ তৈরির উপরে। সেই সঙ্গে দেশে চাহিদা বৃদ্ধিও গতি আনবে অর্থনীতির পালে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি মূলধনী লগ্নির গতি বৃদ্ধি পাওয়াও এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে মনে করে তারা। সে জন্য বেসরকারি ক্ষেত্রকে লগ্নিতে আহ্বান জানিয়েছে মোদী সরকার।
সংশ্লিষ্ট মহল যদিও বলছে, যে দিন কেন্দ্র এই বার্তা দিয়েছে, সে দিনই নভেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সমীক্ষা জানাচ্ছে বেসরকারি ক্ষেত্রে লগ্নিতে ভাটার কথা। তা
অনুসারে, ২০২১-২২ সালে কর্পোরেট সংস্থাগুলি ৩.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করেছিল। পরের দু’বছরে (২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪) তা ছিল যথাক্রমে ৫.৭২ লক্ষ কোটি ও ৪.২২ লক্ষ কোটি। কেন্দ্র বারবার ওই সব সংস্থাকে লগ্নি বাড়াতে বললেও যে কাজ হয়নি, সেটা এই তথ্যে স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংস্থাগুলির একাংশ চলতি অর্থবর্ষের জন্য নিজেদের লগ্নি পরিকল্পনা স্পষ্ট করেনি। তাই সতর্ক হয়েই রিপোর্টের ব্যাখ্যা করতে হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)