মাইসুরুতে ইডির অভিযান। ছবি: পিটিআই।
জমি দুর্নীতি মামলায় পরিবার-সহ কাঠগড়ায় উঠেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। সেই আবহেই এ বার বেঙ্গালুরু এবং মাইসুরুর একাধিক স্থানে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
সোমবার সকালেই বেঙ্গালুরু ও মাইসুরুর আটটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। মুডা জমি দুর্নীতির তদন্তের সূত্র ধরেই এই অভিযান। ইতিমধ্যে, মাইসুরুর যে সমাজকর্মী প্রথম ওই জমি কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন, তাঁকেও তলব করেছে ইডি। মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র সমেত তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে।
চলতি মাসের শুরুতেই এই মামলায় প্রথম দফার অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সে সময় মাইসুরুতে মুডার অফিস-সহ আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। বেঙ্গালুরু আঞ্চলিক অফিসে মুডার কিছু নিচুস্তরের আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, মুডার এই জমি দুর্নীতি মামলাতেই নাম জড়ায় সিদ্দারামাইয়ার। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ করেন স্নেহাময়ী কৃষ্ণ নামে এক সমাজকর্মী। তাতে বলা হয়, ‘মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের (মুডা) জমি বেআইনি ভাবে বিলি করা হয়েছে। জেলাশাসক, ভূমি দফতরের আধিকারিকের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালকও সেই দুর্নীতিতে জড়িত।’ অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থবর চাঁদ গহলৌত। এর পরেই সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তবে গোটা ঘটনায় বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন অনেকেই। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও সিদ্দারামাইয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইতিমধ্যেই মুডার জমি ফিরিয়ে দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী। কর্নাটক সরকারের দেওয়া জমি ফিরিয়েছে সিদ্দারামাইয়ার পরিবারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy