ইডি একটি বিবৃতিতে বলছে, ‘‘ছত্তীসগঢ়ে প্রতিটি মদের বোতল বিক্রিতে দুর্নীতি হয়েছে। মদ ব্যবসা থেকে অবৈধ ভাবে টাকা তোলা হয়েছে।’’ —প্রতীকী চিত্র।
অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ছত্তীসগঢ়ে মদ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে এমনই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
শনিবারই মদ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা রাইপুরের মেয়র আইজাজ ধীবরের ভাই আনোয়ার ধীবর। রাইপুরে একটি হোটেলে তল্লাশির সময় পালাতে যান আনোয়ার। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
ইডি সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, ‘‘মদ পাচার এবং সেই সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপে অভূতপূর্ব দুর্নীতি হয়েছে। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার এই দুর্নীতির পিছনে হাত রয়েছে একাধিক রাজনৈতিক নেতা-সহ প্রভাবশালী ব্যক্তির।’’ একটি বিবৃতিতে ইডির দাবি, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল— ছত্তীসগঢ়ে বিশাল অঙ্কের টাকার আবগারি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। ইডির আধিকারিকেরা বলছেন, ‘‘আনোয়ার এক জন সাধারণ ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর পিছনে রয়েছেন একাধিক বড় বড় নেতা এবং আমলা। তাঁরা এই দুর্নীতিতে সহযোগিতা করেছেন।’’ ইডি একটি বিবৃতিতে বলছে, ‘‘ছত্তীসগঢ়ে প্রতিটি মদের বোতল বিক্রিতে দুর্নীতি হয়েছে। মদ ব্যবসা থেকে অবৈধ ভাবে টাকা তোলা হয়েছে।’’
২০২২ সালের মে মাসে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) একটি মামলার তদন্ত করেছিল আয়কর দফতর। ওই মামলার তদন্তে নেমে আবগারি দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। ছত্তীসগঢ়ে কয়লা পাচার মামলার পর আবার বড় বড় নাম উঠে আসে এই মামলাতেও। চলতি বছরের মার্চ মাসে ছত্তীসগঢ়ের একাধিক জায়গায় হানা দেয় ইডি। আনোয়ারকে গ্রেফতারের পর ইডির দাবি, তিনিই এই মদ দুর্নীতির সিন্ডিকেটের অন্যতম মাথা। এর সঙ্গে রাজ্যের সরকারি দফতরের কোনও কোনও আধিকারিকও যুক্ত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ছত্তীসগঢ় সরকার রাজ্যে মদের ব্যবসার সমস্ত দিক নিয়ন্ত্রণ করে। কোনও ব্যক্তিগত মদের দোকান সেখানে অনুমোদিত নয়। ছত্তীসগঢ়ের প্রায় ৮০০ মদের দোকান রাজ্য দ্বারা পরিচালিত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy