প্রতীকী ছবি।
কর্নাটক বিধান পরিষদের ডেপুটি স্পিকার এস এল ধর্মেগৌড়ার দেহ উদ্ধার হল চিক্কামাগালুরু জেলার কাদুরের কাছে রেললাইনের পাশ থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে।
ধর্মেগৌড়ার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল রাত সাতটা নাগাদ নিজের গাড়িতে করে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার। তাঁর গতিবিধি সম্পর্কে নিরাপত্তারক্ষীদের অবহিত করেননি। সেই সময়ে ড্রাইভার ছাড়া তাঁর সঙ্গে কেউ ছিলেন না। একটি জায়গায় পৌঁছে ড্রাইভারকেও তিনি গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। জানান, তিনি নিজেই বাড়ি ফিরবেন কিছু ক্ষণের মধ্যে। রাত দশটাতেও ধর্মেগৌড়া বাড়ি ফিরে না এলে খোঁজ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত রাত দু’টো নাগাদ কাদুরের গুণাসাগর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ওই এলাকার কয়েকজনের থেকে ট্রেন চলাচলের সময় নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন ধর্মেগৌড়া। পুলিশের অনুমান, এর পরেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ডেপুটি স্পিকার।
৬৪ বছর বয়সি জেডিএস নেতা ধর্মেগৌড়া কিছু দিন আগেই সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন। তাঁকে ঘিরে কর্নাটক বিধান পরিষদে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বিজেপি সদস্যদের চাপে বিধান পরিষদের চেয়ারম্যানের আসনে বসে পড়েছিলেন তিনি। পরে সেই চেয়ার থেকে তোলার জন্য অধিবেশনের মধ্যেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের সদস্যেরা। এমনকি, ওই আসনে চেয়ারম্যানকে বসানোর জন্য ধর্মেগৌড়াকে হাত ধরে টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পরে বিধান পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি করা হয়েছিল।
আজ সকালে ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই বিভিন্ন দলের নেতা, মন্ত্রীরা শোকপ্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া বলেছেন, ‘‘ধর্মেগৌড়া ছিলেন একজন শান্ত, নিরীহ স্বভাবের মানুষ। তাঁর মৃত্যুতে রাজ্যের বিরাট ক্ষতি হল।’’ মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা এই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy