পাঁচিল টপকে গুরুদ্বারে ঢুকছেন পুলিশ অফিসার। ছবি সংগৃহীত।
রাতের বেলায় মদ খেয়ে গুরুদ্বারে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, গুরুদ্বারের স্বেচ্ছাসেবকদের মারধরও করেছেন তিনি, এমন অভিযোগও উঠছে। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ‘অভিযুক্ত’ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পঞ্জাবের মানসার এক গুরুদ্বারে রাতের বেলায় ঢুকে পড়েন স্থানীয় এক পুলিশ অফিসার। জানা গিয়েছে, ওই অফিসার বোহার থানার এসএইচও। তিনি ও তাঁর সঙ্গে আর এক জন পাঁচিল টপকে গুরুদ্বারের ভেতরে ঢোকেন। তার পর সেখানকার স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ।
গুরুদ্বারে বাইরে লাগানো সিসি ক্যামেরায় পুলিশ অফিসারের পাঁচিল টপকানোর ঘটনা ধরা পড়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। ঘটনার পরের দিন সকালে তাঁরা বোহার থানার বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। শেষ পর্যন্ত মানসার ডেপুটি এসএসপি গুরপ্রীত সিংহের আশ্বাস পাওয়ার পরেই বিক্ষোভ ওঠে। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তার প্রতিবাদে পথে নেমেছে শিরোমণি অকালি দল। সেই দলের নেত্রী হরসিমরৎ কউর বাদল রবিবার পঞ্জাবের আম আদমি পার্টির সরকারকে নিশানা করেছেন। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ঘটনার কথা পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, ‘‘মত্ত পুলিশ কর্মীরা জুতো পরে গুরুদ্বারের মধ্যে ঢুকেছিলেন। তার পর স্বেচ্ছাসেবকদের মারধরও করেন। এমনকি ১৪ বছরের বাচ্চাকেও রেহাই দেননি। এই ধরনের কাজ নিন্দনীয়।’’
হরসিমরৎ এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে টেনে এনেছেন মাস চারেক আগে পঞ্জাবের এক গুরুদ্বারে হামলার ঘটনাকে। গত নভেম্বরে পঞ্জাবের সুলতানপুর লোধির (কপূরথালা) অকাল বুঙ্গা সাহিব গুরুদ্বারের কাছে প্রকাশ্যে গুলি চালায় নিহঙ্গদের দুষ্কৃতীরা। এই হামলার ঘটনায় পঞ্জাব পুলিশের এক কনস্টেবলের মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy