গ্রাফিক। সন্দীপন রুইদাস।
আড়াই বছর আগে তাঁর দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দু’দিন আগে কাঁথি থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। তা নিয়ে তদন্তেও নেমেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই পদক্ষেপ। ওই ঘটনার আড়াই বছর পর কেন এই তৎপরতা, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘এ সব ভয় দেখিয়ে, পুলিশ দেখিয়ে লাভ নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিন, নন্দীগ্রামে তাঁকে হারিয়েছি তাই কয়েক মাস জেলে যেতে হবে। আমি সেই নির্দেশ আমি মেনে নেব। উনি (মমতা) আমার চেয়ে বয়সে বড়, তাই বললাম।’’
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর সকাল ১১টা নাগাদ কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লেগে গুরুতর জখম হন তৎকালীন মন্ত্রী শুভেন্দুর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী ওরফে বাপি। পরদিন তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার রাতে শুভব্রতের স্ত্রী সুপর্ণা স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সুপর্ণার অভিযোগ পেয়ে কাঁথি থানায় ৩০২ এবং ১২০বি ধারায় এফআইআর দায়ের হয়।
.@DilipGhoshBJP Do you or your central team know this family and this lady? Her husband was security guard of your leader. Kindly go through her appeal. Kindly observe, that Rakhal Bera is here again! Your LOP will try to avoid the questions raised by the widow. pic.twitter.com/ttIVgC4fFu
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 9, 2021
শুভঙ্করের পরিবারের ঘনিষ্ঠ তথা মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী শুক্রবার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তোলেন। পাশাপাশি, তিনি ইঙ্গিত দেন সে সময় শুভেন্দুর নির্দেশেই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করে সুপর্ণার অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি দিয়ে জানান, শুভেন্দু ঘনিষ্ট রাখাল বেরার নাম নাম রয়েছে তাতে।
কেন ঘটনার আড়াই বছর পরে শুভঙ্করের স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানালেন সে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দুর দাবি, দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ার পরে তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি, ইতিমধ্যে মৃতের পরিবার জীবনবিমার টাকাও তুলে নিয়েছে। বস্তুত, স্কুল শিক্ষিকা সুপর্ণা তাঁর অভিযোগপত্রে দেরিতে সক্রিয় হওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি অভিযোগপত্রে লিখেছেন, “সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী জেলায় ও রাজ্যে একজন শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন। তাই ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাই। দু’মেয়েকে নিয়ে থাকি। তাই কাউকে কিছু বলে উঠতে পারনি। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায় বিচার পেলেও পেতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy