Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Marriage

‘আমাকে মেরে ফেলুন, বিয়ে দেবেন না’! জোর করে তুলে আনা শিক্ষকের আর্জি ‘পকড়োয়া শাদি’ মণ্ডপে

মুকেশকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় মন্দিরে। সেখানে আগে থেকেই বিয়ের সমস্ত বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল। পাত্রীকেও হাজির করানো হয়।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:০০
Share: Save:

ভিড়ের মাঝে এক শিক্ষক কাঁদো কাঁদো মুখে আর্জি জানাচ্ছেন, তাঁকে মেরে ফেলা হোক, কিন্তু বিয়ে যেন না দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষকের সেই আর্জিতেও কারও মন গলছিল না। জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি জোরকদমে চলছিল। আর শিক্ষক প্রলাপ বকে যাচ্ছিলেন, তাঁকে যেন বিয়ে না দেওয়া হয়। বিহারে এমনই একটি ঘটনা আবার প্রকাশ্যে এল। সদ্য শিক্ষকের চাকরি পাওয়া এক যুবককে তুলে নিয়ে এসে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বিহারে ‘পকড়োয়া শাদি’র ঘটনা আবার প্রকাশ্যে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের নাম মুকেশকুমার বর্মা। বিপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করে সদ্য সরকারি স্কুলে শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছেন। জামুইয়ের বাসিন্দা মুকেশের চাকরি পাওয়ার খবর পাশের গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পড়শি গ্রাম থেকে এক তরুণীর পরিবারের সদস্যরা মুকেশের বাড়িতে আসেন। অভিযোগ, তার পর জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এই ঘটনায় মুকেশের গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়।

মুকেশকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় মন্দিরে। সেখানে আগে থেকেই বিয়ের সমস্ত বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল। পাত্রীকেও হাজির করানো হয়। তাঁকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত হচ্ছে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুকেশ। পাত্রীর পরিবারের বার বার কাকুতি মিনতি করে বলেন, “আমাকে বিয়ে দেবেন না। বরং আমাকে মেরে ফেলুন।” কিন্তু কে শোনে কার কথা! তরুণীর পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসীরা মুকেশের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেন।

তরুণীর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে মুকেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। কিন্তু শিক্ষকের চাকরি পেতেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। মুকেশের সঙ্গে তাঁর একটি ছবিও দেখান তরুণী। যদিও মুকেশের পাল্টা দাবি, এটি ভুয়ো। এই ছবি দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।

এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগেও গৌতম নামে সরকারি এক স্কুলশিক্ষককে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় মামলাও দায়ের হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Marriage Bihar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy