Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
India-China Clash

প্যাংগং থেকে সেনা সরানোর কাজ শেষ, দেপসাং, গোগরা নিয়ে আজ ফের বৈঠক

প্যাংগংয়ের তীরে অবস্থিত ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৩ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাকে ‘বাফার জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আগে ও পরে, প্যাংগংয়ের তীর থেকে সেনা সরানোর কাজ সম্পূর্ণ।

আগে ও পরে, প্যাংগংয়ের তীর থেকে সেনা সরানোর কাজ সম্পূর্ণ। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:৫৮
Share: Save:

লাদাখে প্যাংগং হ্রদের তীর থেকে সেনা সরানোর কাজ শেষ। এ বার দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণের মতো এলাকা থেকে সেনা সরানো নিয়ে চিনের সঙ্গে নতুন করে বৈঠক শুরু করতে চলেছে ভারত। শনিবার সকালে দশম দফায় দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠক ঠিক হয়েছে। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) যে অংশ চিনের দিকে, সেখানে মোলডো সীমান্ত বিন্দুতে কম্যান্ডার স্তরের বৈঠক শুরু হবে আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই।

লাদাখ সীমান্তে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাত চলে আসছিল ভারতের। দফায় দফায় বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। শেষমেশ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নবম দফার বৈঠকে প্যাংগংয়ের তীর থেকে সেনা সরাতে রাজি হয় দু’পক্ষ। সেই মতো ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে দু’পক্ষেই উদ্যোগ শুরু হয়। ধীরে ধীরে প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে যাবতীয় যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং সামরিক পরিকাঠামো সরতে শুরু করে। বুধবারের মধ্যেই তা সম্পন্ন হয়ে যায়। সরেজমিনে সব কিছু দেখে বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করা হয় দু’তরফেই। সেনা সরিয়ে নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেপসাং নিয়ে আলোচনা হবে বলে ঠিক হয়েছিল আগেই। সেই মতো এ দিন বৈঠক শুরু হতে চলেছে।

তবে সেনা সরে গেলেও, প্যাংগং নিয়ে চাপানউতর এখনও পুরোপুরি কাটেনি। কারণ সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর আপাতত ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৩ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাকে ‘বাফার জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না আসা পর্যন্ত কোনও পক্ষই সেখানে টহল দিতে পারবে না। এত দিন ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত ভারতের দখলে ছিল। নয়া চুক্তিতে সেই ফিঙ্গার ৪ এলাকার দখল কার্যত ছেড়ে দিতে হয়েছে ভারতকে। হৃত জমি কবে উদ্ধার হবে, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

অন্য দিকে, দেপসাংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন হেলমেট টপ এবং ইয়েলো বাম্পের মতো এলাকাকে চুক্তির আওতায় না এনে আগেভাগে শুধুমাত্র প্যাংগং থেকে কেন সেনা সরাতে রাজি হল ভারত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর থেকে পারস্পরিক সম্মতিতেই হেলমেট টপ এবং ইয়োলে বাম্প অনধিকৃত জায়গা বলে চিহ্নিত ছিল। সেখান থেকে চিনা বাহিনীকে আগে সরানো উচিত ছিল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাট বড় অংশ। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, দেপসাং পুরনো সমস্যা। তাই আলাদা ভাবেই তা মেটাতে হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy