গোয়ার মানুষকে ঠকানোর জন্য ক্ষমা চান। শনিবার এই ভাবেই মনোহর পর্রীকরের কটাক্ষের জবাব দিলেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ।
শুক্রবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে পর্রীকর তাঁর বিদায়ী ভাষণে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহকে কটাক্ষের সুরেই বলেন, “গোয়ায় থেকেও তিনি কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনতে পারেননি। ফলে আমি সরকার গঠন করেছি।” এ জন্য দিগ্বিজয়কে ধন্যবাদও জানান গোয়ার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। পর্রীকরের এ কথার পরই হইচই শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা।
ওই দিন কিছু না বললেও ‘অপমান’ করার জন্য শনিবার পর্রীকরকে পাল্টা উত্তর দিলেন দিগ্বিজয়। তাঁর কথায়, “যদি ধন্যবাদ কাউকে দিতেই হয় তো নিতিন গড়করিকে দিন। কারণ উনিই ১২ মার্চ ভোরে গোয়ার হোটেলে বিধায়ক কেনার কাজটা করেছিলেন।”
আরও পড়ুন: ধন্যবাদ দিগ্বিজয়, আপনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলেই গোয়া আমার: কটাক্ষ পর্রীকরের
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ১৩টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছিল ১৭টি। কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু একক বৃহত্তম দল হিসেবে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। ৪টি আসন বেশি পাওয়া কংগ্রেসকে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় বসতে দেয়নি বিজেপি। এমজিপি, জিএফপি, এনসিপির মতো ছোট দলগুলির সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে ফেলে গেরুয়া শিবির। তিন নির্দল বিধায়ককেও নিজেদের টেনে নেয়। ছোট দলগুলির দাবি ছিল, মনোহর পর্রীকরকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। বিজেপি তাতেই রাজি হয়।
ভোটের ফল ঘোষণার পরের দিনই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে যান পর্রীকর।রাজ্যপালের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থনের সই পেশ করে দেনন। রাজ্যপাল তাঁকেই সরকার গড়তে ডাকেন।
সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া সত্বেও কেন তাদের ডাকলেন না রাজ্যপাল, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কংগ্রেস। পর্রীকরের শপথের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। কিন্তু কংগ্রেসের এই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
পর্রীকর শপথ নেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদে। আস্থা ভোটেও অনায়াসে জেতেন। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, বিধায়ক কেনাবেচার খেলাতেই অন্যায় ভাবে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy