Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

অমিত শাহ কি এ বার বদলা নিলেন? প্রশ্ন কংগ্রেসের অন্দরেই

সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় তখন তিনি রাজ্যছাড়া। গুজরাতে প্রবেশ করতে পারতেন না। তার আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৯ ০৩:২৫
Share: Save:

রাজধানীর অশোক রোডের ৯ নম্বর বাংলোটি বরাদ্দ ছিল অরুণ জেটলির নামে। পাশের ১১ নম্বরটি সেই সময় বিজেপি সদর দফতর। জেটলি রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা। দুপুরের পর দরবার বসাতেন। আর প্রায় রোজই চুপ করে বসে থাকতেন এক আগন্তুক।

তিনি অমিত শাহ।

সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় তখন তিনি রাজ্যছাড়া। গুজরাতে প্রবেশ করতে পারতেন না। তার আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। গ্রেফতারির ঠিক আগে আমদাবাদের বিজেপি দফতরে গিয়ে বলে এসেছিলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। পরে আদালতে নিষ্কৃতি পান।

রাজধানীর অলিন্দে অনেকেই আজকের সঙ্গে মিল পাচ্ছেন ২০১০ সালের সেই ঘটনার। তখন কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। আর আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিবিআই চিদম্বরমকে গ্রেফতার করল। আর ঠিক একই ভাবে কংগ্রেস দফতরে এসে চিদম্বরম দাবি করলেন, তিনি নির্দোষ।

কংগ্রেসের অন্দরেই এখন প্রশ্ন, অমিত শাহ কি তা হলে এ বার বদলা নিলেন? চিদম্বরমের আইনজীবী, সঙ্গী ও কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বললেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলব না। কিন্তু চিদম্বরমের ভাবমূর্তি বিলকুল সাফ।’’

কংগ্রেস শিবিরে এ-ও আলোচনা চলছে— ‘আজ যদি জেটলি এতটা অসুস্থ না থাকতেন, হয়তো সিবিআই-ইডির এমন অপব্যবহার হত না। প্রকাশ্য রাজনৈতিক বিরোধ যা-ই থাক, তলে তলে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে জানতেন জেটলিরা। বিরোধী নেতাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখতেন। ‘আজকের’ বিজেপিতে যা বিরল।’

আরও পড়ুন: পি চিদম্বরম সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন?

রাজীব গাঁধীর ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী কালই এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন সনিয়া গাঁধী। সেখানেও এই নিয়ে মোদী সরকারকে তুলোধোনা করার প্রস্তুতি চলছে। আজ রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও তেড়েফুঁড়ে সরকারের সমালোচনা করেছেন। যে সাংবাদিক সম্মেলন-মঞ্চে চিদম্বরমকে বলার সুযোগ করে দিল কংগ্রেস, সেখানে দলের তাবড় নেতারা হাজির হন সনিয়ার নির্দেশেই।

বিজেপির অবশ্য সাফ কথা, আইন আইনের পথেই চলছে। কোনও রাজনীতির প্রশ্নই ওঠে না। তারা তো আর চিদম্বরমকে দুর্নীতি করতে বলেনি।

শুধু তা-ই নয়, চিদম্বরমকে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর ‘আমিও চৌকিদার’ বক্তৃতার অংশ। যেখানে ভরা ময়দানে তিনি বলছেন, ‘‘এখন কেউ জামিনে আছেন, কেউ আদালতে একের পর এক তারিখ নিচ্ছেন, কেউ আদালতে চক্কর কাটছেন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমি তাঁদের জেলের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। ২০১৯-এর পর?’’

জনতা চেঁচিয়ে উঠল, ‘‘জেল! জেল! জেল!’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy