Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Parliament

শাসকের নিন্দা, নিচু পদে নিরাপত্তা কর্তা

রাজ্যসভার সচিবালয়ের বক্তব্য, নিয়মানুযায়ী সরকারি কর্মী রাজনৈতিক দলের কাজে যোগ দিতে বা সাহায্য করতে পারেন না।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১২
Share: Save:

শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে তা মুছেও দেন। তবু শাস্তি হিসেবে রাজ্যসভার নিরাপত্তা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর উরুজুল হাসানকে অনেক নিচু পদে পাঠানো হল। রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে জারি হয়েছে নির্দেশ। পদাবনতির নির্দেশটি দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। আগামী পাঁচ বছর ডেপুটি ডিরেক্টর (সিকিউরিটি)-র বদলে হাসানকে সাধারণ সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে কাজ করতে হবে। এই পাঁচ বছর তাঁর বেতন বাড়বে না। তার পরেও তিনি পুরনো পদ ফিরতে পারবেন না।

রাজ্যসভার সচিবালয়ের বক্তব্য, নিয়মানুযায়ী সরকারি কর্মী রাজনৈতিক দলের কাজে যোগ দিতে বা সাহায্য করতে পারেন না। উরুজুল হাসানকে নিয়ম মেনেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও যোগী
আদিত্যনাথ-সহ মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একাধিক আক্রমণাত্মক, অপমানজনক, বিদ্রুপাত্মক পোস্ট করেছেন। এমন অনেক পোস্ট করেছেন যাতে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভাবে জড়িত থাকা, বিধানসভা ভোটের প্রচারে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত মেলে। সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে
পারেননি তিনি।

সরকারি সূত্রের খবর, গত বছরের মাঝামাঝি সময়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে হাসানকে সাসপেনশনে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। তার আগে থেকেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, আদিত্যনাথ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য অবশ্য পরে মুছে দিয়েছিলেন হাসান। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনও গুরুতর তথ্য মেলেনি। সে-কারণেই তাঁকে নিচু পদে হলেও কাজে বহাল রাখা
হয়েছে। হাসান ইতিমধ্যে নতুন পদে যোগও দিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার-বিরোধী মন্তব্য করে শাস্তি এই প্রথম নয়। গত ডিসেম্বরে নয়া নাগরিকত্ব বিল (সিএবি)-এর বিরুদ্ধে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় পড়ুয়াদের প্রতিবাদ আন্দোলনের পরে পুলিশি নিগ্রহ চলে। সে সময় সরকারের প্রেস ইনফর্মেশন
বুরোর সোশ্যাল মিডিয়া শাখার এক ঠিকা কর্মী মহিলা সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই পুলিশি নিগ্রহের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। জামিয়া ‘ওয়ারজোন’-এ পরিণত হয়েছে, ‘নো টু সিএবি’-র মতো মন্তব্য ছিল তাতে। ওই মহিলা নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করতে গিয়ে ভুল করে সরকারি অ্যকাউন্ট থেকে টুইট করে ফেলেন। শাস্তি হিসেবে তাঁর চাকরি যায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Parliament Security Branch Urujul Hassan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy