মৃতার বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
নিজের ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক বধূর দেহ উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ। সোমবার দক্ষিণ দিল্লিতে মৃতার বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর বাঁ-হাতে লেখা, ‘আমার মেয়েকে দুঃখ দিয়ো না’!
এই ঘটনায় বধূর স্বামী এবং ভাসুরকে কাঠগড়়ায় তুলেছেন মৃতার মা। ওই মহিলার দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার চালাতেন জামাই এবং তাঁর দাদা। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিল্লির তিগড়ী এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী গুপ্ত (৩৭)-এ মৃত্যুর খবর থানায় জানিয়েছিলেন তাঁর ভাসুর। ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্মীর ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর মেয়েকে যাতে কষ্ট দেওয়া না হয়, মৃতার হাতে তা লেখা ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের কাছে মৃতার মা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি জিতেন্দ্র গুপ্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেয়ের। তার পর থেকেই পণের দাবিতে মেয়ের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাতেন জামাই জিতেন্দ্র গুপ্ত এবং তাঁর দাদা।
দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪বি, ৪৯৮এ, ৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতার দেহের ময়নাতদন্তের পর তা পরিজনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy