রবিবার দিল্লির বিস্ফোরণস্থল এনএসজির দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। ছবি: পিটিআই।
দিল্লির রোহিণীতে স্কুলের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠনের নাম উঠে আসেনি। দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি এনএসজিও তদন্ত চালাচ্ছে। বার্তা পাঠানোর অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’-এর একটি প্রোফাইলের দিকেও নজর রয়েছে দিল্লি পুলিশের। প্রোফাইলের নাম ‘জাস্টিস লিগ ইন্ডিয়া’। সূত্রের খবর, ওই টেলিগ্রাম হ্যান্ডল থেকেই বিস্ফোরণের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই প্রোফাইলের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে ‘টেলিগ্রাম’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। তবে এখনও পর্যন্ত বার্তা পাঠানোর অ্যাপের তরফে কোনও জবাব পায়নি পুলিশ।
রবিবার সকালে দিল্লির রোহিণীতে সেক্টর ১৪ এলাকায় একটি স্কুলের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলের দেওয়াল। একটি গাড়ি এবং আশপাশের কিছু দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে কেউ জখম হননি। কী কারণে বিস্ফোরণ হল, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট ভাবে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় দিল্লি পুলিশ। যদিও পুলিশের একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এটি সম্ভবত কম তীব্রতার একটি আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভব্য সব দিক তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেও ওই টেলিগ্রাম হ্যান্ডলের নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছেন, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। বিস্ফোরণের সময়ের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ওই টেলিগ্রাম হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছিল। সঙ্গে খলিস্তানপন্থী স্লোগানও লেখা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণের মাধ্যমে দুষ্কৃতীরা প্রশাসনকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রসঙ্গত, এই বিস্ফোরণের আগে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে লেখা হয়, ভারতের ‘এজেন্টরা’ খলিস্তানপন্থীদের নিশানা করছেন। তার বদলা নিতেই এই হামলা। এই পোস্টের বিষয়েও তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy