শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে হত্যায় অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ফাইল চিত্র।
দিল্লি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পরতে পরতে রহস্যের সন্ধান পাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের হাতে রোজই আসছে নিত্যনতুন তথ্য। দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার মোবাইল ফোনের ‘ডেটা’ হাতাতে চেয়েছিলেন আফতাব। এই চেষ্টা গত বছর থেকেই শুরু করেন তিনি। শ্রদ্ধা ও আফতাব গত বছর বেড়াতে গিয়েছিলেন। সে সময় থেকেই তাঁর মোবাইল ফোনের যাবতীয় তথ্য হাতে পেতে চেয়েছিলেন আফতাব। সন্দেহ না অন্য কোনও কারণ, ঠিক কী কারণ আফতাব এমনটা করতে চেয়েছিলেন, তা তদন্ত করে দেখতে চাইছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিল্লির সাকেত আদালতে পেশ করা হবে লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে হত্যায় অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে। আফতাবের জেল হেফাজতের মেয়াদবৃদ্ধির জন্য আদালতে সওয়াল করতে পারে দিল্লি পুলিশ। কারণ, পুলিশ মনে করছে এই রহস্যের জাল উন্মোচন করতে আফতাবকে আরও জেরা করার প্রয়োজন।
মেহরৌলীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি শ্রদ্ধারই কি না, সে বিষয়ে সুনিশ্চিত হতে শ্রদ্ধার বাবাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ টেস্ট করে, সেই ডিএনএ-র সঙ্গে দেহাংশগুলির ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে। প্রাথমিক তদন্তে আফতাবের জীবনে একাধিক নারী থাকার প্রমাণ মিলেছে। তবে এ বিষয়ে সুনিশ্চিত হতে, অভিযুক্তের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের যাবতীয় কল রেকর্ডস খুঁটিয়ে দেখছে পুলিশ।
বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে পেলেও এখনও বেশ কিছু বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট হাতে পায়নি পুলিশ। যেমন আফতাব এবং শ্রদ্ধার ব্যবহৃত জিনিসপত্রের ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রিপোর্ট হাতে এলে অনেক রহস্যের কিনারা হতে পারে। তবে তদন্তে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না তাঁরা। আফতাবকে পুলিশের হেফাজতে রেখে কেন জেরা করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে যুক্তিজাল সাজিয়ে আদালতে সওয়াল করতে প্রস্তুত দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy