দিল্লিতে কিডনি পাচারের চক্র ধরল পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
কিডনি পাচারের বড়সড় চক্র ফাঁস করল দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন বাংলাদেশি-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে কিডনি কেনাবেচা চলত।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, এনসিআর, পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতে অভিযান চালিয়ে এই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত এই সব জায়গায় পাচারের জাল বিস্তার করেছিলেন ধৃতেরা। তবে আর কোন কোন রাজ্যে এই চক্রের জাল ছড়িয়ে ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা চলছে। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, মোবাইল, নগদ টাকা এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের শিকার বানাতেন ধৃতেরা। তাঁদের বুঝিয়ে ৪-৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিডনি বিক্রি করতে রাজি করানো হত। শুধু তাই-ই নয়, কখনও কখনও কিডনির বিনিময়ে ভাল চাকরির প্রস্তাবও দেওয়া হত। কিডনির ভুয়ো নথি বানানো হত। যাঁরা কিডনি বিক্রি করতে রাজি হয়ে যেতেন তাঁদেরকে কিডনি গ্রহীতাদের আত্মীয় হিসাবে নথিতে দেখানো হত। তার পর সেই কিডনি এক একটি ২০-২৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হত।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জন চিকিৎসকও রয়েছেন। তাঁর নাম বিজয়া কুমারী। তিনি নয়ডার একটি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৫-১৬টি অস্ত্রোপচারও করেছেন তিনি। দিল্লির জসোলা বিহারে কয়েক জন বাংলাদেশির সন্দেহজনক আচরণেই এই ঘটনা প্রকাশ্যেআসে। সেখান থেকে রাসেল, রোকন, সুমন মিঞা এবং রাতেশ পাল নামে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চিকিৎসক বিজয়া কুমারী কিডনি প্রতিস্থানের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে নিতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy