দিল্লির ফ্ল্যাটবাড়িতে খাটের বক্সের ভিতর মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হলেন বিবেকানন্দ মিশ্র এবং অভয়কুমার ঝা ওরফে সোনু। বিবেকানন্দ ওই ফ্ল্যাটবাড়ির মালিক। অপর অভিযুক্ত অভয় হলেন মৃতের স্বামীর বন্ধু। পুলিশের সন্দেহ, এই দুই ধৃতের সাহায্য নিয়েই স্ত্রীকে খুন করেছেন আশিস কুমার। তবে ঘটনার পর থেকে আশিস পলাতক। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
গত শুক্রবার পুলিশের কাছে খবর যায়, ওই ফ্ল্যাটবাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছে। সেই মতো ওই বাড়িতে যেতেই উদ্ধার হয় অঞ্জলি ওরফে অঞ্জু (৩৫) নামে ওই মহিলার দেহ। বাড়িতে একটি বক্স খাটের মধ্যে কম্বলে মুড়িয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল দেহটি। পুলিশ সূত্রে খবর, অঞ্জুর বাপের বাড়ি পঞ্জাবের লুধিয়ানায়। সম্প্রতি স্বামীকে দুই বন্ধুর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থা দেখে ফেলেন তিনি। ওই ঘটনার পরে মহিলা বাপের বাড়িতে চলে যান। গত ২১ মার্চ স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে লুধিয়ানায় যান আশিস। অঞ্জুকে আবার দিল্লিতে নিয়ে আসেন তিনি। অভিযোগ, স্ত্রীকে দিল্লিতে নিয়ে আসার দু’দিন পরেই গত ২৩ মার্চ তাঁকে খুন করেন আশিস। এই কাজে দুই বন্ধু বিবেকানন্দ এবং অভয় তাঁকে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
খুনের পর দেহ বক্স খাটের মধ্যে লুকিয়ে তিন জনেই পালিয়ে যান। প্রথমে তাঁরা আশ্রয় নেন রাজস্থানের জয়পুরে অভয়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে। পরে ফ্ল্যাটবাড়ির মালিক দিল্লিতে ফিরে আসেন। অভয় এবং আশিস বিহারের উদ্দেশে চলে যান। শুক্রবার দেহ উদ্ধারের পরেই বাড়ির মালিককে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করেই অভয় এবং আশিসের বিহার যাওয়ার বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ। এরই মধ্যে গত ২৮ অগস্ট দেহ লোপাটে ফ্ল্যাটের মালিককে সাহায্য করার জন্য দিল্লিতে ফেরে অভয়। দিল্লিতে পৌঁছোনোর পরে বিবেকানন্দ গ্রেফতার হয়েছে জানতে পেরেই ফের মগধ এক্সপ্রেস ধরে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান।