দিল্লিতে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। ছবি: পিটিআই।
১৫ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে দৈনিক কোভিড আক্রান্ত ২০-২৫ হাজারে পৌঁছতে পারে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। মঙ্গলবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে সরকারি একটি সূত্র। মঙ্গলবার রাজধানীতে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৫ হাজার মানুষ। সংক্রমণের হার ৮.৫ শতাংশ। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে রাজধানীতে তাতে লকডাউন করা হবে কি না তা নিয়ে একটা জল্পনা চলছিল। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, এখনই লকডাউনের পথে হাঁটবে না সরকার।
গোটা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ওমিক্রনের কারণে সেই সংখ্যাটা এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির পরিস্থিতি ভয়াবহ। সোমবার রাজধানীতে চার হাজারের বেশি দৈনিক সংক্রমণ ছিল। কিন্তু এই সংখ্যাটা আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে ওই সরকারি সূত্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ এক সূত্র জানাচ্ছে, আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছবে ৮-৯ হাজার।
পাশাপাশি সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে, ওমিক্রনকে যেন কোনও মতেই হালকা ভাবে না নেওয়া হয়। ওই সূত্র আরও জানাচ্ছে, এমস-সহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে, যা খুবই উদ্বেগের। সংক্রমণ যত বাড়বে, হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও তত বাড়বে বলে মনে করছে সরকারি ওই সূত্র।
এমস সূত্রে খবর, গত দু’তিন দিনে পঞ্চাশেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। যে ভাবে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে কর্মীদের শীতকালীন ছুটি কমিয়ে দ্রুত কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার দিল্লিতে কোভিড সংক্রমণের হার ছিল ৬.৪৬ শতাংশ। প্রশাসন সূত্রে খবর, যদি সংক্রমণের হার লাগাতার দু’দিনের বেশি ৫ শতাংশের উপরে থাকে, তা হলে সরকার চূড়ান্ত সতর্কতা এবং কঠোর বিধিনিষেধ জারি করতে পারে। বর্তমানে রাজধানীতে হলুদ সতর্কতা বহাল রয়েছে।
ওমিক্রনের জেরে দিল্লিতে সংক্রমণের ছবিটা আমুল বদলে গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, জিন পরীক্ষার জন্য যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ৮১ শতাংশের ওমিক্রন ধরা পড়েছে। সোমবার দিল্লিতে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৯৯ জন।
কোভিড সংক্রমণের বৃদ্ধিতে সপ্তাহান্তে কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত তা স্থির করতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিলেন দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। সংক্রমণের ভিত্তিতে এলাকাগুলিকে নানা রঙে ভাগ করা হতে পারে। যেটাকে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি) বলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy