পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ছ’ঘণ্টার মধ্যে রহস্যের কিনারা হয়েছে। ধরা পড়েছেন অভিযুক্ত। ছবি: প্রতীকী
স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। দিল্লির ঘটনা। নিহত যুবক অভিযুক্তের ছোটবেলার বন্ধু। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ছ’ঘণ্টার মধ্যে রহস্যের কিনারা হয়েছে। ধরা পড়েছেন অভিযুক্ত।
দিল্লি পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘৩০ ডিসেম্বর আমরা খবর পাই, অরবিন্দ মার্গে সফদরজং হাসপাতালের দু’নম্বর গেটের সামনে এক তরুণী এবং এক তরুণ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁরা গুরুতর জখম। দু’জনকেই দ্রুত সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মহিলার মুখে গুরুতর আঘাত ছিল। সাগর নামে ওই ব্যক্তির শরীরেও একাধিক আঘাত ছিল।’’
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে দু’জনেরই মৃত্যু হয়। সফদরজং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরেই তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ। তাদের তরফে জানানো হয়, তদন্তের জন্য পুলিশের ৫টি দল তৈরি করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, দেড় বছর আগে গন্ধর্ব ওরফে সানির সঙ্গে বিয়ে হয় ৩০ বছরের ওই মৃতা মহিলার। বিয়ের পর তাঁরা নয়ডাতে থাকতে শুরু করেন। সেখানে এক হাসপাতালে দু’জনে কাজ নেন। এর মধ্যে সানির ছোটবেলার বন্ধু সাগরের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। দু’জনের সম্পর্ক গ়ড়ে ওঠে।
সফদরজং হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। মৃত তরুণী এবং তরুণের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘সাগরের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন সানি। এর পরই সানি লুকিয়ে থাকতে পারেন এমন কিছু সম্ভাব্য জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে নয়ডা, গোকুলপুরি, কুসুমপুর পাহাড়ি, করকরডুমা। শেষ পর্যন্ত সানিকে গ্রেফতার করা হয়।’’
জেরায় অভিযুক্ত সানি জানিয়েছেন, সাগর তাঁর ছোটবেলার বন্ধু। একই এলাকায় থাকতেন। গত ১৫ দিন ধরে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সাগরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। দু’-তিন বার সাগরকে হুমকি দিয়ে স্ত্রীর থেকে দূরে থাকতে বলেছিলেন। এর পরেই দু’জনকে কুপিয়ে খুন করেন বলে স্বীকার করেন সানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy