গাড়ির মধ্যে থাকা একটি ডাটা কেবলের তার নিক্কির গলায় জড়িয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন সাহিল। প্রতীকী ছবি।
ত্রিকোণ সম্পর্ক নিয়ে অশান্তি। প্রেমিকাকে তাই খুন করে বসলেন দিল্লির ধাবার মালিক সাহিল গহলৌত। প্রেমিকার দেহ ফ্রিজে রাখার ঘণ্টাখানেক পরেই অন্য মহিলার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন সাহিল। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশকে এমনটাই জানালেন খুনে অভিযুক্ত ধাবার মালিক।
মঙ্গলবার খুনের অভিযোগে সাহিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সাহিল তাঁর সঙ্গে মৃতা নিক্কি যাদবের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালে উত্তম নগরের কাছে একটি কোচিং সেন্টারে নিক্কির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। কিছু দিন মেলামেশার পর তাঁদের বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। সাহিল এবং নিক্কি সম্পর্কে আসার পর একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত।
সাহিলের দাবি, তাঁর পরিবার ক্রমাগত তাঁকে বিয়ের জন্য জোর করছিল। শেষমেশ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে পরিবারের পছন্দের মেয়ের সঙ্গে সাহিলের আশীর্বাদ এবং বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ৯ এবং ১০ তারিখ বিয়ে করার কথা ছিল সাহিলের। কিন্তু নিক্কিকে এই বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি।
সাহিলের বিয়ের ব্যাপারে পরে জানতে পারেন ২৬ বছর বয়সি নিক্কি। তার পর দু’জনের মধ্যে এই নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। পুলিশের কাছে সাহিল স্বীকার করেছেন যে, নিক্কির সঙ্গে গাড়ি চালিয়ে কাশ্মীর গেটের আইএসবিটি-র কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সাহিল। গাড়ির ভিতরে দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। তখনই নিক্কিকে খুন করেন সাহিল।
পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন যে, গাড়ির মধ্যে থাকা একটি ডাটা কেবলের তার নিক্কির গলায় জড়িয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন সাহিল। তার পর নিক্কির দেহ নিজের ধাবায় নিয়ে আসেন তিনি। ধাবার একটি ফ্রিজের মধ্যে মৃতার দেহ লুকিয়ে রাখেন তিনি। ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর প্রেমিকাকে খুন করেন সাহিল। নিক্কির দেহ ফ্রিজে ভরার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সাহিল বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy