ভাঙচুর করা হচ্ছে দিল্লি জল বোর্ডের দফতরে। ছবি: সংগৃহীত।
জল নিয়ে অশান্তি অব্যাহত রাজধানী দিল্লিতে। জলসঙ্কটের প্রতিকার চেয়ে রবিবার দিল্লির নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ছতরপুরে দিল্লি জল বোর্ড (ডিজেবি)-এর দফতরে ভাঙচুর চলে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফে প্রকাশিত ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায়, হাতে মাটির কলসি নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে ডিজেবি-র দফতরে ঢুকছেন কয়েক জন। তার পর তাঁরা দফতরের কাচের জানলা লক্ষ্য করে সেই কলসিগুলি ছুড়ে দিচ্ছেন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। দিল্লির আপ সরকারের দাবি, এই ভাঙচুরের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। আপের তরফেও ভাঙচুরের একটি ভিডিয়ো এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে শেয়ার করা হয়। ওই ভিডিয়োয় ভাঙচুরকারীদের একাংশের গলায় ‘বিজেপি জিন্দাবাদ’ স্লোগান শোনা যায়। এই ভিডিয়োটিরও সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের তরফে লেখা হয়, “এক দিকে হরিয়ানার বিজেপি সরকার দিল্লিকে ন্যায্য জলের ভাগ থেকে বঞ্চিত করছে। অন্য দিকে, বিজেপি দিল্লির মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করছে।”
বিজেপি অবশ্য ভাঙচুরের ঘটনায় তাদের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে জলের দাবিতে মানুষের ক্ষোভবিক্ষোভ যে ‘সঙ্গত’, তা স্বীকার করে নিচ্ছে পদ্মশিবির। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রমেশ বিদুরি বলেন, “মানুষ যখন রেগে যায়, তখন যা খুশি করতে পারে। আমি বিজেপি কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ, যাঁরা ওই মানুষদের (ভাঙচুর করা থেকে) আটকেছেন। কারণ সম্পত্তি নষ্ট করে কোনও লাভ হয় না।”
গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লিতে জলের হাহাকার শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত জলের বন্দোবস্ত করতে পড়শি রাজ্যগুলির কাছে হাত পাততে হয়েছে রাজধানীকে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার হিমাচলপ্রদেশ সরকার শীর্ষ আদালতে জানায়, তাদের কাছে বাড়তি জল নেই। এর আগে হিমাচল অন্য একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তাদের কাছে ১৩৬ কিউসেক বাড়তি জল রয়েছে, যা দিল্লিকে দেওয়া যেতে পারে। বৃহস্পতিবার সেই বয়ান বদল করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy