Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Arvind Kejriwal's Bail Plea

কেজরীকে দেওয়া জামিন খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট, আপ প্রধানের শেষ ভরসা সেই সুপ্রিম কোর্টই

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আবেদনে সাড়া দিয়ে শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ কেজরীওয়ালের জামিনে মুক্তি স্থগিত রেখেছিল। সেই মামলায় মঙ্গলবার রায় দিল দিল্লির উচ্চ আদালত।

Delhi High Court stays bail granted to Chief Minister Arvind Kejriwal in the excise policy case

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ ১৪:৫৭
Share: Save:

জামিন পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। ফলে আপতত তিহাড়েই থাকতে হবে কেজরীওয়ালকে।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। ইডি কেজরীর জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিল। যা গ্রাহ্য হয়নি। বিচারক ন্যায় বিন্দু কেজরীকে জামিন দেন। শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে কেজরীওয়ালের জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাই কোর্ট।

শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ইডির মামলা শোনে হাই কোর্ট। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। মঙ্গলবার বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ রায় ঘোষণার সময় বলে, ‘‘ট্রায়াল কোর্টের এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া উচিত হয়নি, যা হাই কোর্টের রায়ের বিপরীত।’’ একই সঙ্গে উচ্চ আদালত এ-ও জানায়, নিম্ন আদালত নির্দেশ দেওয়ার সময় নথি এবং যুক্তি যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন করেনি। হাই কোর্ট আরও বলেছে, এক বার তাঁর (অরবিন্দ কেজরীওয়াল) গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে করা মামলা হাই কোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল। ফলে এটা কখনই বলা যাবে না যে, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।

আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। পরে লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হলে আবার তিনি তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আম আদমি পার্টির প্রধানের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। ইডির আইনজীবী তথা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইডির তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলির যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। অথচ সেগুলি পর্যালোচনা না করেই একতরফা ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে আপ প্রধানকে। তার পরই দিল্লি হাই কোর্টে কেজরীর জামিনের বিরোধিতা করে মামলা করে ইডি। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে এই বিষয়টিই তুলে ধরেন ইডির আইনজীবী। তবে কেজরীর আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তকারী সংস্থা তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।

এর পরে দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সোমবার তাঁর সেই আর্জি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট সোমবার জানায়, বুধবারের মধ্যে ইডির মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট কোনও রায় দেয় কি না, তা দেখে নিতে চায় তারা। তার পরেই শুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন দেখার এই মামলায় কী রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE