—প্রতীকী চিত্র।
স্বামী-স্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রায় একই। দু’জনেই মোটা অঙ্কের মাইনের চাকরি করেন। তা হলে বিচ্ছেদের পর খোরপোশ কিসের। এক বধূর দায়ের করা মামলা খারিজ করে এমনই মন্তব্য করল দিল্লি হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, হিন্দু বিবাহ আইন (১৯৫৫) অনুযায়ী মামলাকারী ভরণপোষণের অর্থ দাবি করতে পারেন না। কারণ, এ ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রী, দু’জনেই প্রতিষ্ঠিত।
২০১৪ সালে বিয়ে হয় মামলাকারীর। ২০১৬ সালে দম্পতির একটি সন্তান হয়। কিন্তু বনিবনার অভাবে ২০২০ সালে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি। পরিবার আদালতের নির্দেশে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। সন্তানের দেখভালের জন্য মাসে ৪০ হাজার টাকা দিতে বলা হয় বাবাকে। কিন্তু, ওই অঙ্কের টাকা দিতে অসম্মত হন তিনি। টাকার অঙ্ক কম করার জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। অন্য দিকে, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী নিজের জন্য মাসে ২ লক্ষ টাকা করে খোরপোশের জন্য হাই কোর্টে আবেদন করেন। একই সঙ্গে ছেলের দেখভালের জন্য প্রাক্তন স্বামীর কাছে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সুরেশকুমার কৈত এবং বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণার বেঞ্চে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই উচ্চশিক্ষিত এবং সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। সন্তানের মা মাসে আড়াই লক্ষ টাকা রোজগার করেন। সন্তানের বাবা ডলারে উপার্জন করেন। ভারতীয় মুদ্রায় সেই উপার্জনের অঙ্ক ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। এ ক্ষেত্রে মহিলা তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছে খরপোশ দাবি করতে পারেন না।’’
আদালত জানায়, ওই মহিলার প্রাক্তন স্বামী যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে দেখা গিয়েছে উপার্জনের সঙ্গে তাঁর ব্যয়ের অঙ্কও অনেক বেশি। খুব বেশি সঞ্চয় হয় না তাঁর। তাই মহিলার খোরপোশের দাবি খারিজ করছে আদালত। পাশাপাশি, সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব যে হেতু বাবা-মায়ের দু’জনেরই, বাবাকে মাসে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy