নয়া দিল্লি স্টেশনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারির পদপিষ্টের ঘটনায় ট্রেন ধরতে পারেননি অনেকেই। সে জন্য টাকা ফেরত চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। বুধবার সেই আবেদন নাকচ করে দিল উচ্চ আদালত।
বুধবার উচ্চ আদালতে আবেদনকারীদের আইনজীবী বলেন, পদপিষ্টের ঘটনার পর যাত্রীরা টিকিটের টাকা ফেরত চেয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও সেই অনুরোধ গ্রহণ করা হয়নি। উত্তরে হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ জানিয়েছে, এতে হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়। বরং ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত ভাবে আইনি সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে পারেন যাত্রীরা। তবে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের কিছু করণীয় নেই বলে জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন:
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভিড় এবং যাত্রী-ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত আইনি বিধানের বাস্তবায়ন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। কিন্তু যে সব যাত্রী প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, অথচ ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে ক্ষতিপূরণ চাইছেন, তার সঙ্গে মূল ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। বেঞ্চের বক্তব্য, ‘‘এ নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলার অনুমতি দিলে মূল মামলার প্রতি অন্যায় করা হবে। এ নিয়ে ব্যক্তিগত মামলা হতে পারে, জনস্বার্থ মামলা নয়। আমরা এখানে মামলা করার অনুমতি দেব না।’’ পাশাপাশি, আবেদনকারীদের তাঁদের আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি স্টেশনে কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীদের ভিড়ে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাতে মহিলা ও শিশু-সহ মোট ১৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী আদিত্য ত্রিবেদী। তাঁর দাবি, নয়াদিল্লির ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থা, চরম অবহেলা এবং প্রশাসনের ব্যর্থতাই দায়ী। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রেলের কাছে ট্রেনপ্রতি সর্বোচ্চ যাত্রীসংখ্যা নির্ধারণ, প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি-সহ জনস্বার্থ মামলায় উত্থাপিত সমস্ত প্রসঙ্গ তদন্ত করে দেখে বিশদ হলফনামা চেয়েছে আদালত।