Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

হাওয়ার গতি বাড়াতেই কমল দূষণ রাজধানীতে

সকালে কিন্তু ঘন ধোঁয়াশায় ঢাকা ছিল আকাশ। সকাল ৯টায় বাতাসের গুণগত সূচক দাঁড়ায় ৫০০-র কাছাকাছি। তবে ১০টার পর থেকে অবস্থা বদলাতে শুরু করে।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৪৬
Share: Save:

পশ্চিমি ঝঞ্ধা গতি বাড়িয়ে উত্তর ভারতমুখী হতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন রাজধানীবাসী। দিন দশেক পরে দেখা মিলল সূর্যের। দিনের শেষে দিল্লিতে বায়ুর গুণগত সূচক দাঁড়াল ১৯৫-তে। যা সহনীয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

সকালে কিন্তু ঘন ধোঁয়াশায় ঢাকা ছিল আকাশ। সকাল ৯টায় বাতাসের গুণগত সূচক দাঁড়ায় ৫০০-র কাছাকাছি। তবে ১০টার পর থেকে অবস্থা বদলাতে শুরু করে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, কাল রাত থেকে যে হাল্কা বায়ুপ্রবাহ শুরু হয়েছিল, তা আজ সকালের পর থেকে গতি পায়। এক সময়ে বাতাসের গতি ছিল প্রায় ২০ কিমি/ঘণ্টা। তার ফলেই সরতে শুরু করে দূষণের চাদর। আজই সুপ্রিম কোর্টে দূষণ মামলার শুনানিও ছিল। উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি সরকারের প্রতিনিধিরা। বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও দীপক গুপ্তর বেঞ্চ জানায়, কোনও রাজ্য থেকে ফসলের গোড়া পোড়ানোর খবর পাওয়া গেলে সেই রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে যে গ্রামে তা পোড়ানো হচ্ছে, তার পঞ্চায়েত প্রধান— সকলকেই জবাবদিহি করতে হবে। এ ছাড়া দূষণ রোধে আর কী করা হয়েছে জানাতে বুধবার রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের ডেকে পাঠিয়েছে বেঞ্চ। হরিয়ানার সরকারি আইনজীবী বিধানসভা চলার যুক্তি দেখিয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন, যদি অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এলে চলে! ক্ষুব্ধ বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, ‘‘মুখ্যসচিবকে আসতে হবে, আসতে হবে, আসতে হবে। অন্যথায় বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হবে।’’

দূষণ কমাতে আজই দিল্লিতে ফের জোড় বিজোড় নীতি মেনে গাড়ি চলাচল করেছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল মন্ত্রিসভার সদস্য সত্যেন্দ্র গর্গ ও গোপাল রাইয়ের সঙ্গে একই গাড়িতে আসেন। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া দফতরে আসেন সাইকেল চড়ে। অন্য দিকে বিজোড় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামেন বিজেপি নেতা বিজয় গয়াল। চার হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বলেন, ‘‘লোক দেখানো নীতিতে যে কাজ হয় না সেই বার্তা দিতেই নিয়ম ভেঙেছি।’’ শীর্ষ আদালতেও ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে দিল্লি সরকার। কারণ তারা অতীতে হলফনামা দিয়েছিল, বাইক-অটো থেকে বেশি দূষণ হচ্ছে। ওই গাড়িগুলিকে কেন জোড়-বিজোড় নীতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তা নিয়ে জবাবদিহি চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গ্রেনেড হানায় হত ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা

মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। বলেছে, ‘‘দিল্লিবাসীকে মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকে কম কিছু নয়।’’ দূষণের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশেই আজ প্রতিবাদ মিছিল করেন প্রায় শ’খানেক মহিলা।

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Pollution Air Pollution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy