Delhi couple changes the lifestyle of Villagers dgtl
Lumba Couple
জমি কিনে চাষ করার ইচ্ছা থেকে গোটা গ্রামের জীবনধারাই পাল্টে দিয়েছেন এঁরা
চাষ করার ইচ্ছা থেকে গোটা গ্রামের জীবনধারাই পাল্টে দিয়েছেন লুম্বা দম্পতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২০ ০৮:৩০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
হরিয়ানার মাঙ্গার গ্রাম। দিল্লির কাছেই রয়েছে এই গ্রাম। এক দম্পতির গড়ে তোলা ফার্মল্যান্ড বদলে দিয়েছে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা।
০২১৮
শক্তি লুম্বা ও ইলা লুম্বা। অনেক দিন ধরেই তাঁরা গুরুগ্রামের কাছে জমি কেনার কথা ভাবছিলেন। সে জমিতে চাষ করার ইচ্ছাটাও ছিল বহু দিনের।
০৩১৮
কিন্তু সেখানে না কিনে তাঁরা অজ গ্রাম মাঙ্গারে ন’একর জমি কেনেন। সেখানে জমি কেনার সময় জলাশয় ও ফাঁকা মাঠ ছাড়া কিছুই ছিল না। চাষ আবাদও হতো না সেখানে।
০৪১৮
জমি কিনে সেখানে গাছ লাগাতে শুরু করেন দম্পতি। আস্তে আস্তে চাষও শুরু হয় সেখানে।
০৫১৮
যদিও চাষে কোনও রাসায়নিক সার ব্যবহার করতেন না তাঁরা। সকালে এসে চাষের কাজ দেখভাল করে রাতে দিল্লিতে নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতেন তাঁরা।
০৬১৮
চাষের জন্য প্রয়োজনীয় গোবর তাঁরা আনতেন দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকা থেকে। সেখান থেকে গোবর আনাতে খরচও বেশ হচ্ছিল।
০৭১৮
তাই তাঁরা ফার্মল্যান্ডের মধ্যেই খাটাল তৈরি করেন। তার পর সেই গবাদি পশুর গোবর চাষের কাজে ব্যবহৃত হতে থাকে। এই ভাবেই স্বনির্ভরতার দিকে এগোতে থাকে লুম্বা দম্পতির ফার্ম।
০৮১৮
সেই ফার্মের কাজ বাড়তেই স্থানীয় মানুষরা অংশ নিতে থাকেন। লুম্বা দম্পতি দেখলেন, গ্রামের মানুষ যখন ফার্মে কাজ করছেন, তখন তাঁদের বাচ্চারা ফার্মের আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
০৯১৮
তখনই এই শিশুদের পড়াশোনার করানোর কথা মাথায় আসে তাঁদের। সে জন্য ফার্মের মধ্যেই স্কুল খোলেন ওই দম্পতি।
১০১৮
মাত্র চার জন নিয়ে শুরু হয় স্কুল। প্রথম দিকে সেখানকার স্থানীয়রা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চাইতেন না। অনেক বুঝিয়ে তাঁদের সে ব্যাপারে রাজি করান ওই দম্পতি।
১১১৮
এক বছরের মধ্যেই সেই স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বেড়ে হয় ১৫০। কিন্তু এর মধ্যে কম বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি ওই দম্পতিকে।
১২১৮
স্থানীয় কিছু স্কুলও ছাত্রদের আসতে বাধা দিয়েছে। ছাত্রদের খাবার দেওয়ার বিষয়ে আপত্তিও ওঠে একাংশের কাছ থেকে।
১৩১৮
তাদের দাবি ছিল, খাবারের লোভ দেখিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু সব বাধা শান্ত ভাবে সামাল দেন লুম্বা দম্পতি।
১৪১৮
ফার্মল্যান্ডে খোলা স্কুলে শুধু পড়ানো নয়, স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিচ্ছন্নতার মতো মৌলিক বিষয়গুলির পাঠও দেওয়া হয়।
১৫১৮
লুম্বা দম্পতির এই উদ্যোগ দেখে তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন বন্ধু ও পরিচিতরা। আস্তে আস্তে স্কুলে ছাত্র সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
১৬১৮
তবে শুধু স্কুল না। স্কুলের পাশাপাশি এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভরতার পাঠও দিতে থাকেন তাঁরা।
১৭১৮
মহিলারা হাতে কলমে কাজ শিখে নিজেদের বাড়িতে বসেই বিভিন্ন জিনিস বানাতে থাকেন। তাঁদের লোকের বাড়িতে কাজ পাওয়ার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় না।
১৮১৮
এ ভাবেই ন’একরের ওই ফার্মল্যান্ড মাঙ্গার এলাকার বাসিন্দাদের জীবন অন্য ধারায় বইয়েছে। এখন এই গ্রামের মানুষ অনেকটাই স্বনির্ভর। চাষ করার ইচ্ছা থেকে গোটা গ্রামের জীবনধারাই পাল্টে দিয়েছেন লুম্বা দম্পতি।