দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।
প্রত্যাশা মতোই দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোটে জয়ী হলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লির আম আদমি পার্টি (আপ)-র সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে শনিবার ভোট দিয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে ধ্বনিভোটে কেজরীকে সমর্থন করেছেন ৫৪ জন।
যদিও কেজরীওয়াল ভোটপর্বের পরে বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের ৬২ জন বিধায়কের মধ্যে দু’জন জেলে রয়েছেন (মণীশ সিসৌদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈন)। অন্যদের মধ্যে কেউ অসুস্থ, কেউ বাইরে রয়েছেন। যাঁরা বিধানসভায় হাজির ছিলেন, তাঁরা সকলেই আস্থাভোটের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন।’’ আস্থা-জয়ের পরে কেজরীর ঘোষণা, ‘‘বিজেপি দেশের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। এ বারের ভোটে ওরা জিতলে ২০২৯ সালে আপ দেশকে বিজেপি মুক্ত করবে।’’
কেজরী আপ পরিষদীয় দলে ভাঙনের কথা উড়িয়ে দিলেও জল্পনা, কয়েক জন আপ বিধায়কের আস্থাভোটে অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩৬ বিধায়কের সমর্থন। বিজেপির রয়েছে মাত্র ৮ জন বিধায়ক। আপের ৬২। এই পরিস্থিতিতে ২৮ জন আপ বিধায়ককে দলে টানা বিজেপির পক্ষে অসম্ভব বলেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলেও গিয়েছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে প্রশ্ন উঠেছে পরিষদীয় পাটিগণিতে কেজরীর দলের হিসাবে গরমিল নিয়ে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার আচমকাই আস্থাভোট নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল। তিনি জানান, বিজেপি আপ বিধায়কদের একাংশকে কিনে তাঁর সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে। অন্তত ৭ জন আপ বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজেপির তরফে ২৫ কোটি টাকা করে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও শনিবার নিজেই পরিষদীয় দলের ভাঙনের অভিযোগ খারিজ করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy